গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ব স্থাপত্যের অন্যান্য নিদর্শন ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়াকে ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রিপরিষদের জাদুঘর রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করে তুরস্কের সর্বোচ্চ আদালত। পরে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দেন।
গত বছরের ২৪ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের মধ্যে দিয়ে সেখানে নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু হয়।
৫৬৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ গির্জা হিসেবে আয়া সোফিয়া নির্মাণ করা হয়। ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ ফাতিহ কনস্টান্টিনোপল বিজয় করে খ্রিস্টানদের কাছ থেকে তা ক্রয় করে।
অতপর তা ৪৮১ বছর মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৩৬ সালে আধুনিক তুরস্কের জনক মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করেন।
আয়া সোফিয়ায় ঈদের নামাজের খুতবায় তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক সংস্থার প্রধান আলী আরবাশ পবিত্র রমজান মাসের দর্শন এবং ঈদুল ফিতরের বিষয়ে কথা বলেন।
আলী আরবাশ তার খুতবার গুরুত্বপূর্ণ অংশে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং জেরুজালেমে দখলদারিত্বের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন: "ফিলিস্তিনি জনগণ ও আল-আকসা মসজিদ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সমস্ত ঈদ দুঃখের সাথে পালিত হবে।" iqna