সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রাজিয়া আগে থেকেই স্বপ্ন দেখতেন পুলিশ হওয়ার। বরাবর পড়াশোনায়ও ভালো ছিলেন। প্রথমে তিনি বিপিএসই পরীক্ষা দিয়ে বিহার সরকারের ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিযুক্ত হন। কিন্তু পুলিশে যোগ দেওয়ার পরই যেন রাজিয়া সুলতানার স্বপ্ন পূরণ হলো।
রাজিয়া সুলতান বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার হাতুয়ার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি বিহারের বিদ্যুৎ বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন। গোপালগঞ্জের বাসিন্দা হলেও ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে স্কুলের পড়াশোনা করেছেন। তার বাবা মোহাম্মদ আসলাম আনসারী বোকারো স্টিল প্ল্যানেটে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০১৬তে বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা এখন বোকারোতেই থাকেন।
এক সাক্ষাৎকারে রাজিয়া বলেন, শৈশব থেকেই তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় অংশ নিতে চেয়েছিলেন। ডিএসপির জন্য নির্বাচিত হয়ে তার স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে। ২০১৭ সালে বিহার সরকারের ইলেকট্রিক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিযুক্ত হন।
রাজিয়া আরও বলেন, পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে আমি খুব উদগ্রীব। অনেক সময় দেখা যায় সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পায় না, বিশেষত মহিলারা। এমনকি লজ্জার কারণে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপরাধের কথা বলতে লজ্জা পায় না। সেদিকে আমার বেশি নজর থাকবে। যাতে তারা সুবিচার পায়। iqna