ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্রগুলো হচ্ছে দেশটিকে সহায়তার জন্য সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত অস্ত্রের প্রথম চালান। এর মধ্যে রয়েছে ‘সামনের সারির প্রতিরক্ষা যোদ্ধাদের’ জন্য গোলাবারুদ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চলতি সপ্তাহের কিয়েভ সফরের প্রেক্ষাপটে এই সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হলো। ওই সফরে রাশিয়া হামলা করলে কঠিন জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ব্লিংকেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনের জন্য ২০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা অনুমোদন করেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলেছে, এ সামরিক সহায়তা ইউক্রেনের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় ইউক্রেনের চলমান প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা অব্যাহত রাখবে। ’
বেশ কিছু দিন ধরে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ করছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের আশঙ্কা, ইউক্রেনে হামলা চালাতেই রাশিয়ার এই প্রস্তুতি। মস্কো ওই সেনা সমাবেশকে নিজের দেশের ভেতরে স্বাভাবিক সেনা চলাচল বলে দাবি করে আসছে। তবে ইউক্রেনসহ পূর্ব ইউরোপে পাশ্চাত্যের সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরোধিতা করছে রাশিয়া। বিষয়টি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা।
ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। বলা হয়েছিল ওই বৈঠক সামরিক সংঘাত এড়ানোর শেষ চেষ্টা। বৈঠকের পর উভয় দেশ জানায়, তারা ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে রাশিয়া লিখিতভাবে নিরাপত্তাগত কিছু দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে এর জবাব দেবে বলে কথা। আগামী সপ্তাহেই আবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক বসতে সম্মত হয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। কালের কণ্ঠ