IQNA

কুরআন কি বলে/২

মানুষ, পৃথিবীতে মহান আল্লাহর উত্তরাধিকারী

22:37 - May 24, 2022
সংবাদ: 3471892
তেহরান (ইকনা): যখন মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেন এবং তাকে পৃথিবীতে তার উত্তরাধিকারী বলে অভিহিত করেন, তখন ফেরেশতারা আল্লাহকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যাতে মানুষের গুণাবলী অস্বীকার করা হয়েছিল:  “আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে সেখানে অরাজকতা সৃষ্টি ও রক্তপাত করতে থাকবে? এর উত্তরে মহান আল্লাহ বলেছেন: ‘নিশ্চয় আমি জানি, যা তোমরা জান না।’
যখন মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেন এবং তাকে পৃথিবীতে তার উত্তরাধিকারী বলে অভিহিত করেন, তখন ফেরেশতারা আল্লাহকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যাতে মানুষের গুণাবলী অস্বীকার করা হয়েছিল:  “আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে সেখানে অরাজকতা সৃষ্টি ও রক্তপাত করতে থাকবে? এর উত্তরে মহান আল্লাহ বলেছেন: ‘নিশ্চয় আমি জানি, যা তোমরা জান না।’
 
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَن يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ
 
(সে সময়কে স্মরণ কর) যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, ‘নিশ্চয় আমি পৃথিবীতে নিজের খলিফা (প্রতিনিধি) নিয়োগকারী’, তারা (সবিস্ময়ে) বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে সেখানে অরাজকতা সৃষ্টি ও রক্তপাত করতে থাকবে? যেক্ষেত্রে আমরা আপনার সপ্রশংস মহিমা বর্ণনা ও পবিত্রতা ঘোষণা করি।’ তিনি বললেন, ‘নিশ্চয় আমি জানি যা তোমরা জান না।’
সূরা বাকারা, আয়াত ৩০
সূরা বাকারার ৩০ নম্বর আয়াতে পৃথিবীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের খিলাফত ঘোষণা করা হয়েছে এবং ফেরেশতারা এই খিলাফত সম্পর্কে আল্লাহর কাছে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন এবং আল্লাহ তায়ালা তার উত্তর দেন।
এই আয়াতটি এমন দশটি আয়াতের সূচনা যা সৃষ্টি ব্যবস্থায় মানুষের অবস্থান, তার বৈশিষ্ট্য, প্রতিভা ও যোগ্যতাকে পরীক্ষা করে, খিলাফতের সত্যতা ও প্রভাব এবং পৃথিবীতে মানুষের অবতরণকে প্রকাশ করে। 
এই আয়াতের শেষে, মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের সম্বোধন করে বলেছেন: " নিশ্চয় আমি জানি যা তোমরা জান না। কিন্তু মহান আল্লাহ কী জানেন যা ফেরেশতারা জানেন না? অনেক মুফাস্সিরগণ ফেরেশতাদের এই ধারণাটিকে বর্ণনা করে বলেছেন যে, পৃথিবীতে পূর্ব-বিদ্যমান প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল এবং তারা সেখানে অরাজকতা সৃষ্টি ও রক্তপাত করত।. "মাজমা 'আল-বায়ান"-এ ইবনে আব্বাস এবং ইবনে মাসউদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে ফেরেশতারা জানতেন যে হযরত আদম (আ.) গুনাহ করবেন না, কিন্তু মহান আল্লাহ তাদের বলেছিলেন যে, আদমের কিছু সন্তান পৃথিবীতে অরাজকতা সৃষ্টি ও রক্তপাত করবে। তাই তারা এমন প্রশ্ন করেছেন। আল্লামা তাবাতাবাই ফেরেশতাদের এই ধারণার কারণকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন: ফেরেশতারা জানতেন যে, পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে রাগ ও লালসা থাকবে । আর একারণে তারা পৃথিবীতে অরাজকতা সৃষ্টি ও রক্তপাত করবে।
 
কিন্তু ফেরেশতারা যা জানতেন না. তা হল আল্লাহর খলিফা হওয়ার মধ্যে মানুষের চূড়ান্ত পরিপূর্ণতা, যার পথ পার্থিব জীবনের মধ্য রয়েছে। আল্লাহ্‌র বিশেষ অলীগণও এই পৃথিবীতে প্রবেশের পূর্বে সর্বোচ্চ স্তরের অধিকারী ছিলেন এবং এই পৃথিবীতেও সেই উচ্চ স্তরের সাথে মিল রেখে আল্লাহ্‌র পথে কষ্ট ও অধ্যবসায় সহ্য করেছেন এবং স্বেচ্ছায় এই দুনিয়ায় সেই পদগুলো বজায় রেখেছেন।

 

সংশ্লিষ্ট খবর
captcha