IQNA

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের নাকাবা দিবসের স্বীকৃতি

0:03 - December 04, 2022
সংবাদ: 3472933
তেহরান (ইকনা): ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়ন করা হয়। বিপর্যয়ের সেই দিনকে স্মরণ করতে প্রতিবছর পালিত হয় নাকাবা দিবস। গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৭৫তম নাকাবা দিবস পালনের প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এ প্রস্তাবের পক্ষে ৯০টি দেশ ভোট দেয়।
বিপক্ষে ভোট দেয় ৩০টি দেশ এবং ভোটদানে বিরত ছিল ৪৭টি দেশ। প্রস্তাবটি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে এ বছরের শেষ দিকে গৃহীত হয়।
ফিলিস্তিনে জাতিংসঘের দূত রিয়াদ মানসুর বলেন, ‘অবশেষে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যে ঐতিহাসিক অবিচার হয়েছিল তা স্বীকার করে নাকাবার ৭৫তম বার্ষিকীকে স্মরণ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। আমাদের জনগণের দুর্দশার স্বীকৃতি, ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও অধিকার পূরণ করা হবে। ’ পাস হওয়া প্রস্তাবনায় ২০২৩ সাল থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হলে নাকাবা দিবস পালন ও প্রাসঙ্গিক প্রচারণার আহবান জানানো হয়।  
 
মনসুর আরো বলেন, ‘৭৫ বছর আগে সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। ৭৫ বছর পর এখনো ইসরায়েলের নীতিগুলো সাত মিলিয়নের বেশি উদ্বাস্তু শিশুসহ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে যাচ্ছে। তা ছাড়া দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান এখন ‘রাস্তার শেষ’ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। তাই হয় আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করবে কিংবা নিষ্ক্রিয়ভাবে শান্তিকে মরতে দেবে। ’
 
পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় ও জাতিসংষের প্রতি আহবান জানান তিনি।
 
নাকাবা আরবি শব্দ। এর অর্থ দুর্যোগ। এর দ্বারা মূলত ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে সংঘটিত যুদ্ধে সাড়ে সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনির গৃহহীন হওয়ার ঘটনাকে বোঝানো হয়। তা ছাড়া ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রভাব ফেলা ঘটনাবলিকেও বোঝানো হয়। এ সময় প্রায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা যায়।  
 
অবশ্য এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি আপনার দেশের প্রতিষ্ঠাকে একটি বিপর্যয় হিসেবে উদযাপন করে তাহলে আপনি কী বলবেন? কী অপমানকর!’ এদিকে নাকাবা প্রস্তাবনা পাস হওয়ায় বিষয়টিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শান্তিচুক্তির সুযোগকে আরো বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করেন ইসরায়েলি কূটনীতিকরা।  
সূত্র : মিডলইস্ট আই
captcha