IQNA

ইস্তাম্বুলে রমজান উপলক্ষে মহানবীর চাদর প্রদর্শনী

0:20 - March 29, 2023
সংবাদ: 3473537
তেহরান (ইকনা): পবিত্র রমজান উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে মহানবী (সা.)-এর ব্যবহৃত ‘বুরদা’ তথা চাদর। গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত খিরকা-ই-শরিফ মসজিদে তা দেখতে ভিড় করছেন আগ্রহীরা। প্রখ্যাত তাবেয়ি উওয়াইস আল-করনি (রহ.)-এর ৫৯তম বংশধর বারিস সামির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। 
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ সূত্রে জানা যায়, রমজান মাসের প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টার মধ্যে মহানবী (সা.)-এর ব্যবহৃত জুব্বাটি দেখতে পাবেন দর্শকরা। ছুটির দিনে তা সকাল ৯টা থেকে উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিবছর রমজান মাসের প্রথম জুমা থেকে শেষ দিন পর্যন্ত তা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। 
 
 
উওয়াইস বিন আমির আল-কারনি (রহ.) ছিলেন একজন শীর্ষ পর্যায়ের তাবেয়ি। ৩৭ হিজরিতে ইয়েমেনের রামজানে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। মহানবী (সা.)-এর যুগে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করতে ইয়েমেন থেকে মদিনায় যান। কিন্তু তখন রাসুল (সা.) তাবুক যুদ্ধে থাকায় সাক্ষাৎ হয়নি। এদিকে অসুস্থ মায়ের শুশ্রূষার জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে বাড়ি ফিরতে হয়। এদিকে মহানবী (সা.) তাঁর সম্পর্কে জানতে পেরে ওমর (রা.) ও আলী (রা.)-কে নিজের চাদর দিয়ে অসিয়ত করেন যেন তার কাছে তা পৌঁছানো হয়। রাসুল (সা.) সেই চাদর মিরাজের রাতে পরেছিলেন বলে মনে করা হয়।
 
উওয়াইস আল-করনি (রহ.) তা পেয়ে নিজের কাছে সংরক্ষণ করেন। ৩৭ হিজরিতে আলী (রা.)-এর পক্ষ হয়ে ‍সিফফিনের যুদ্ধে অংশ নেন এবং শহীদ হন। এরপর তার ভাই তা সংগ্রহ করেন এবং বংশপরম্পরায় তা সংরক্ষণ করেন। ১৬১১ সালে অটোমান সুলতান আহমদের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে তার বংশধর ইস্তাম্বুলে আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। অতঃপর খিরকায়ে-ই-শরিফ মসজিদ নির্মাণের পর সেখানে চাদরটি রাখা হয়। 
 
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
 
captcha