শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তওবার অর্থ হল অনুশোচনা এবং আল্লাহর নিকট এমন প্রতিশ্রুতি দেয়া যাতে আর কখনও গুনাহের পুনরাবৃত্তি ঘটে। এখন অনেকের মনে এমন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তওবার সুযোগ কখন পর্যন্ত আছে। রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানুষ মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তওবা করতে পারে।
গুনাহের মারত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ইসলামে তওবা তথা অনুশোচনার পথ খোলা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কেউ যদি গুনাহের মাধ্যমে নিজেকে কলুষিত করে, তবে সে কলুষতা থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে দ্রুত আল্লাহর দরবারে তওবা বা ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং প্রতিজ্ঞা করা যে, আগামীতে কখনও এ ধরনের গুনাহে লিপ্ত হবে না। এ কারণে আধ্যাত্মিক ব্যক্তিবর্গ সব সময় তওবার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। হাদীসের দৃষ্টিতে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মানুষের জন্য তওবার দরজা খোলা রয়েছে।
বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক আল্লামা শেইখ বাহায়ী তওবার গুরুত্বের প্রতি ইশারা করে বলেছেন যে, নি:সন্দেহে প্রত্যেক বান্দার উপর তওবা হচ্ছে ফরজ। তওবার মাধ্যমে মানুষ গুনাহের ক্ষতিকর বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। কেননা গুনাহ হচ্ছে বিষের ন্যায়। মানুষ যখন কোন গুনাহ সম্পাদন করে তখন তার শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় কেউ যদি বিষ পান করে, তখন বিষক্রিয়া থেকে রক্ষার জন্য তাকে বারংবার বমি করতে হয়, তেমনি গুনাহের বিষ ক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলেও মানুষকে আল্লাহর দরবারে বারংবার তওবা করতে হবে। সুতরাং গুনাহের বিষক্রিয়া থেকে রক্ষায় তওয়ার কোন বিকল্প নেই।