বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, «زَهَرَ نُورُها لِمَلائِکَةِ السَماءِ » মা ফাতিমা যখন নামাজের দাঁড়াতেন তার নুরের জ্যোতি দেখে আসমানের ফেরেশতারা অবাক হয়ে যেত।
মা ফাতিমা ছিলেন আল্লাহর মনোনীত এবং পরিক্ষিত বান্দা। «امْتَحَنَکِ اللّهُ الَّذی خَلَقَکِ قَبْلَ أَنْ یَخْلُقَکِ، فَوَجَدَکِ لِمَا امْتَحَنَکِ صابِرَةً»؛ আল্লাহ তাকে তার সৃষ্টির পূর্বেই পরীক্ষা করেছিলেন এবং তাকে ধৈর্যশীল হিসাবে পেয়েছিলেন।
মা ফাতিমা যাহরা (সা.) মহানবীর সেবা-শুশ্রূষা থেকে শুরু করে সংসারের নানান কাজের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন।
মক্কার কাফেররা প্রায়ই মহানবী ( সা.)কে উত্যক্ত করত, তাঁর ওপর অত্যাচার চালাত। সেই সময় স্নেহময়ী মায়ের মতো বালিকা ফাতেমা পিতার পাশে এসে দাঁড়াতেন, পিতার ক্ষতের পরিচর্যা করতেন, কাফেরদের হাত থেকে তাঁকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন ।
তিনি একাই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হতেন। এজন্য হযরত ফাতেমা যাহরা ( সা. আ. )কে সকলে উম্মে আবিহা বলে ডাকতো। উম্মে আবিহা অর্থ তাঁর পিতার মা।
মা ফাতিমা যাহরা(সা.) মহানবী (সা.) এর কন্যা হয়েও স্নেহময়ী মায়ের মতো মহানবীকে ভালোবাসতেন বলেই তাঁর উপাধি হয়েছিল উম্মে আবিহা। ইসলাম প্রচারের কঠিন মিশন নিয়ে মহানবী ( সা. ) দেশান্তরী হয়েছিলেন । সে সময়ও হযরত ফাতেমা যাহরা ( সা. আ. ) পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।
শাবিস্তান
দোয়াকরি আপনার মেয়ে যেন ইসলামের ছায়াতলে বড় হয়।
মাশা-আল্লাহ! অনেক সুন্দর নাম।
মাশা-আল্লাহ, অনেক সুন্দর নাম নির্বাচন করেছেন। ইনশা-আল্লাহ, এই বরকতময় নামের বরকতে আপনার বোনের জীবনও যেন বরকতময় হয়ে উঠুক।