বার্তা সংস্থা ইকনা: অসংখ্য রেওয়ায়তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে পৃথিবী অন্যায়- অত্যাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে তার অর্থ এই নয় যে ,প্রতিটি মানুষই জালেম হয়ে যাবে। বরং আল্লাহ পথের পথিকরা ঠিকই সে পথে অবিচল থাকবে এবং ফযিলতের সুগন্ধ বিভিন্ন স্থান থেকে নাকে আসবে।
সুতরাং আবির্ভাবের পূর্বের পৃথিবী তিক্ত হলেও তা আবির্ভাবের সুন্দর পৃথিবীতে গিয়ে শেষ হবে। ফ্যাসাদ ও অত্যাচার থাকলেও পাশাপাশি নিজে পবিত্র থাকা এবং অন্যদেরকে সৎকর্মের দিকে আহবান করা মুসলমানদের অবশ্য কর্তব্য এবং তা ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবকে ত্বরান্বিত করতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে থাকে।
এ অধ্যায়টি ইমাম মাহদী তিনি বলেছেন: (আ.) -এর একটি বাণীর মাধ্যমে শেষ করছি ,কোন কিছুই আমাদের অনুসারীদের থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে না কেবল মাত্র তাদের গোনাহ ও অসৎকর্ম ব্যতীত।
ইমাম আলী (আ.) ,ইমাম মাহদী (আ.)-এর কুরআনী হুকুমতকে স্পষ্ট ভাষায় এভাবে বর্ণনা করেছেন: যখন মানুষের নফস হুকুমত করবে তখন (ইমাম মাহদী আবির্ভূত হবেন) এবং হেদায়েত ও সাফল্যকে নফসের স্থলাভিষিক্ত করবেন। যেখানে ব্যক্তির মতকে কোরআনের উপর প্রাধান্য দেওয়া হত তা পরিবর্তন হয়ে কোরআনকে সমাজের উপর হাকেম করা হবে।
তিনি অন্যত্র আরো বলেছেন: আমি আমার শিয়াদেরকে দেখতে পাচ্ছি যে ,কুফার মসজিদে তাঁবু বানিয়ে কুরআন যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছিল সেভাবে জনগণকে শিক্ষা দিচ্ছে। সূত্র: shabestan