সুতরাং যারা নিজেরা নামাজ কায়েম করে, নামাজের সহযোগি হয় এবং অন্যদেরকেও নামাজের জন্য দাওয়াত দেয়, তারা নিশ্চই ইমাম মাহদীর সাহায্যকারী হবে। কেননা তারা ইমাম মাহদীর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথেই অগ্রসর হচ্ছে। মহানবী (সা.) বলেছেন:
قال رسول الله )ص من حافظ على الصلوات الخمس على وضوئها ومواقيتها وركوعها وسجودها يراها حقا لله عليه حرم على النار
যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে এরূপ পাবন্দির সাথে আদায় করে, ওজু ও সময়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়, রুকু সেজদা উত্তমরূপে আদায় করে এবং এইরূপ নামাজ আদায় করাকে নিজের উপর আল্লাহর হক মনে করে তবে জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেন, বল দেখি যদি কোন ব্যক্তির দরজার সামনে একটি নহর বা নদি প্রবাহিত থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তবে তার শরীরে কি কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে? সাহাবাগন আরজ করলেন, কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। মহানবী(সা.) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও ঠিক এমনই ভূমিকা পালন করে এবং মহান আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বদৌলতে মু’মিন বান্দার সকল গুনাহ মিটিয়ে দেন।
ইমাম সাজ্জাদ(আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদীর প্রকৃত প্রতীক্ষাকারী ও অনুসারীরা রাত্রি জেগে নামাজ আদায় করে এবং তাদের ঘর থেকে মৌমাছি ওড়ার মত নামাজ, কুরআন ও যিকিরের শব্দ বের হয়।