বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: মহান আল্লাহ এ পৃথিবীকে সৃষ্টি করে তাতে বসবাসের জন্য মানব জাতিকে পাঠিয়েছেন। আর মানুষ যাতে পৃথিবীতে এসে বিচ্যুত ও বিপথগামী না হয়, সে জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূলগণকে পাঠিয়েছে। এ সব নবীদের মধ্যে কাউকে তিনি শরিয়ত ও আসমানি কিতাব দিয়েছেন; আবার কাউকে পূর্ববর্তী নবীর শরিয়ত ব্যাখ্যা ও তা মানুষদের নিকট পৌঁছে দিবার দায়িত্ব দিয়েছেন।
আল্লাহ পবিত্র কোরআন ও অন্যান্য আসমানি কিতাবে মানুষকে জীবন পরিচালনা এবং এ পৃথিবীতে মানুষের করণীয় ও দায়িত্বসমূহ সম্পর্কে যথাযথ দিকনির্দেশনা দান করেছেন। তিনি শয়তানকে মানুষের সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু হিসেবে অভিহিত করেছেন, যাতে মানুষ সতর্ক ও সচেতন থাকতে পারে এবং শয়তানের প্ররোচনার শিকার না হয়।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা জুমার ২ নং আয়াতে যুগে যুগে নবী-রাসূলদের প্রেরণের উদ্দেশ্যের প্রতি ইশারা করে বর্ণনা করেছেন,
هُوَ الَّذي بَعَثَ فِي الأُمِّيّينَ رَسولًا مِنهُم يَتلو عَلَيهِم آياتِهِ وَيُزَكّيهِم وَيُعَلِّمُهُمُ الكِتابَ وَالحِكمَةَ وَإِن كانوا مِن قَبلُ لَفي ضَلالٍ مُبينٍ.
তিনিই উম্মীদের মধ্যে তাদেরই মধ্য থেকে একজনকে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন যে তাদের নিকট তাঁর আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে এবং গ্রন্থ (শরীয়তের বিধান) ও প্রজ্ঞা শিক্ষাদান করে; যদিও ইতঃপূর্বে তারা ঘোর বিভ্রান্তির মধ্যে ছিল।
সুতরাং মানুষকে খোদামুখী ও সত্য-ন্যায়ের পথে দিকনির্দেশনা দানের উদ্দেশ্যে যুগে যুগে নবী-রাসূলগণের আগমন ঘটেছে। তারা মানুষের মন ও অন্তরে আশার আলো জ্বালিয়েছেন এবং তাদের স্বত্বার মধ্যে খোদা পরিচিতির তৃষ্ণা জাগিয়েছেন।