বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ২০শে জানুয়ারি এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে: দায়েশ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক ২০১৭ সালে ধ্বংস হওয়া মসুলের আল-নুরি জামে মসজিদের পুনর্নির্মাণের প্রথম পর্বের সমাপ্তি হয়েছে।
প্রকাশিত বিবৃতিতে ইউনেস্কো আল-নুরি মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পুনর্নির্মাণ এবং ইরাকের মসুলের “আল-হুদাইবা” নামক ঐতিহাসিক মিনারের কাজে শেষ হওয়ার খবর জানিয়েছে।
এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে: অক্টোবর মাস থেকে ইউনেস্কো মসজিদের আশেপাশের ল্যান্ডমাইন অপসারণ এবং ঐতিহাসিক মসজিদের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও এই মসজিদের প্রায় ৮৪০ বছর প্রাচীন ৪৫ মিটার উচ্চতা আল হুদাইবা মিনারের কাজও শেষ হয়েছে।
নভেম্বর মাসে মসজিদের আশেপাশের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে গম্বুজটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে এবং মসজিদের প্রাঙ্গণসমূহ গত মাসে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
আল-নুরি মসজিদটি মোসুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মসজিদ। এই মসজিদ থেকেই দায়েশ তথা আইএসের প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি তার কথিত খেলাফত ঘোষণা করেছিল। কিন্তু দায়েশের সন্ত্রাসীরা কথিত খেলাফত ঘোষণার তিন বছর পর এই মসজিদটি ধ্বংস করেছে। ২০১৭ সালে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাস নিধন অভিযান চালিয়ে এই মসজিদের নিকটে পৌঁছে গিয়েছিল। তখন সন্ত্রাসীরা এই প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মসজিদটি ধ্বংস করে।
আল-নুরি জামে মসজিদের পুনর্নির্মাণের কাজ ২০১৮ সালের ১৭ই ডিসেম্বরে "রিসাইভিং দ্য স্পিরিট অফ মোসুল" শিরোনামে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) প্রতিনিধি নুইস হ্যাকস্টাসসেন এবং সুন্নি এন্ডোমেন্টের পরিচালক আবু বকর কানানের উপস্থিতিতে শুরু করা হয়েছে। iqna