শহীদ মিনার চত্বরে শিল্পীরা রং-তুলি দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে নানা বর্ণমালা আর বাণী সাজিয়ে দিয়ে তাদের অনুভূতি ফুটিয়ে তুলছেন।
শহীদ মিনারের সার্বিক ব্যবস্থপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ সময় গুণছেন একুশের সুচনা লগ্নের জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, সর্বস্তরের সবাইকে আমরা সাদরে গ্রহণ করব। রাত ১২টা ১ মিনিটে যে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকে, সে চিন্তা করে আমরা আমাদের আয়োজন সাজিয়েছি।
এতক্ষণে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এবং আশে-পাশের এলাকা। শুক্রবার সারাদিন শহীদ মিনার মুখরিত হবে লাখো মানুষের জমায়েত। নিরাপত্তার জন্য থাকছে নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা। সিসিটিভি থেকে, ডগ স্কোয়াড সব রয়েছে প্রস্তুত।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, 'আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা থেকে মুল নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ করব; যা আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত থাকবে।'
এখন অপেক্ষা রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের সূচনা লগ্নের জন্য। 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'- এ সঙ্গীতের সুরে সুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রথমে ঊপস্থিত হবেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর মন্ত্রীপরিষদের সদস্যগণ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ- একে একে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ।
আর এভাবেই গোটা জাতি আরো একবার ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নতুন করে শপথ নেবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য; তাদের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ও ন্যয়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের জন্য।
১৯৫২ সালের এ দিনে ঢাকায় সূচিত ভাষা শহীদ দিবস আজ গোটা বিশ্ব পালন করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাই বিশ্বব্যাপী নানা আয়োজনে এ দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
সূত্র: parstoday