৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সিএনএনে প্রকাশিত ব্র্যাড লেন্ডনের লেখায় বেশ কিছু বাস্তবতা যেমন : ইরানী মিসাইলসমূহ যে নিখুঁত ও সুক্ষ্ম আঘাত হানতে সক্ষম এবং সেগুলো যে সুক্ষ্ম ও নিখুঁত গাইডিং সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত তা উল্লেখ করা হয় নি "ইরান আসলে কত শক্তিশালী ? " - প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ প্রবন্ধে ।
আর গত বছর ( ২০২১ সাল ) এপ্রিলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন র্সেন্টকম প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক্ ম্যাক্কেনযী বলেছেন : ইরানের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ড্রোনের কারণে কোরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথম বারের মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ শক্তির প্রাধান্য ও শ্রেষ্ঠত্ব ছাড়াই মার্কিন সেনাবাহিনীকে অত্র অঞ্চলে কাজ করতে হচ্ছে এবং যতদিন পর্যন্ত ইরানী এ সব ড্রোন শনাক্ত করণ , ঠেকানো ও ভূপাতিত করার একটা নেটওয়ার্কড ক্যাপাসিটি ও দক্ষতা গড়ে তোলা না হবে ততদিন পর্যন্ত সুবিধা আক্রমণকারীদের ইরানী) হাতেই থাকছে।
ম্যাক্কেনযীর বক্তব্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইরানী ড্রোন মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য নিত্য নৈমিত্তিক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে ! সুতরাং এ সব বক্তব্য ও রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সুক্ষ্ম ও সফল আঘাত হানার ক্ষমতা ও দক্ষতা যা প্রথম আলোর এ প্রবন্ধে উল্লেখিত হয় নি । তারপরও এ প্রবন্ধটিতে ভালো এবং ইরানের সামরিক শক্তি ও দক্ষতার খানিকটা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ইরান ইসলামী বিপ্লবের পর মহান আল্লাহর অপার করুণায় ওয়ালী -ই ফকীহের যোগ্য নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় এবং বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর মতো ত্যাগী বীর যোদ্ধা ও মুজাহিদদের অক্লান্ত , নিরলস ও নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা - প্রচেষ্টা ও কৃচ্ছ সাধনার ফলে শত্রুকে প্রতিহত করার ক্ষমতা অর্জন করেছে বলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের আশেপাশের দেশসমূহ আক্রমণ করে দখল করে নেয় অথচ বহুবার আক্রমণের হুমকি দিয়েও আজ পর্যন্ত ইরান আক্রমণ করে নি । কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলেও তা নিজের ইচ্ছায় শেষ করতে পারবে না এবং দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধ করা ও তা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যও যুক্তরাষ্ট্রের নেই । আর এ বাস্তবতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ ভালো ভাবেই জানে ও বোঝে।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওলায় মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
২৬ - ১০ - ১৪০০
১৬ - ১ - ২০২২