IQNA

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অপরাধের সাংস্কৃতিক-সভ্যতাগত বিশ্লেষণ

8:07 - July 04, 2025
সংবাদ: 3477646
ইকনা- পশ্চিমা বিশ্বের এমন একটি গভীর সংকট দেখা দিয়েছে, যার মূল্য তাকে ভবিষ্যতে চরমভাবে দিতে হবে। পুরো পশ্চিমা সংস্কৃতি — যেমন যুক্তিবাদ, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, বিশ্বজনীনতা ইত্যাদি — আজ প্রমাণ করে দিয়েছে যে এইসব কেবল বাক্যবাজি এবং শক্তি প্রয়োগের ঢাল মাত্র। এইসব শব্দ দিয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্য সভ্যতা গঠন করা সম্ভব নয়।
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অপরাধের সাংস্কৃতিক-সভ্যতাগত বিশ্লেষণপশ্চিমা বিশ্বের এমন একটি গভীর সংকট দেখা দিয়েছে, যার মূল্য তাকে ভবিষ্যতে চরমভাবে দিতে হবে। পুরো পশ্চিমা সংস্কৃতি — যেমন যুক্তিবাদ, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, বিশ্বজনীনতা ইত্যাদি — আজ প্রমাণ করে দিয়েছে যে এইসব কেবল বাক্যবাজি এবং শক্তি প্রয়োগের ঢাল মাত্র। এইসব শব্দ দিয়ে কোনো বিশ্বাসযোগ্য সভ্যতা গঠন করা সম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাপী সংঘাত ও পশ্চিম-মধ্যবিরোধী ফ্রন্ট
আজকের বিশ্বে আমরা একপ্রকার স্পষ্ট দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করি — যেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিম তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে চায়, আর অন্যদিকে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ইরান, ভেনেজুয়েলা, উত্তর কোরিয়া ও অন্যান্য দেশ, যারা নিজেদের আলাদা উন্নয়নের পথ খুঁজছে।
এই দেশগুলোর মধ্যে কোনো একক মতাদর্শ না থাকলেও, সবাই একমত যে তারা নিজস্ব সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক উন্নয়নের পথ অনুসরণ করতে চায়, বাইরের হস্তক্ষেপ ছাড়াই। তারা শান্তির পূজারী না হলেও, তারা অন্তত পশ্চিমের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
পশ্চিমা শক্তির আসল ভিত্তি — জোর ও প্রতারণা
পশ্চিম নিজেকে মানবাধিকার রক্ষক হিসেবে তুলে ধরলেও, বাস্তবে তাদের প্রকৃত শক্তির ভিত্তি হলো:
1. আর্থিক সন্ত্রাস (ঋণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ)
2. সামরিক দমন (যুদ্ধ ও হস্তক্ষেপ)
তাদের নীতি হলো: যারা আমাদের পক্ষের, তারা যতই খারাপ হোক — “তাদের অপরাধও মেনে নেওয়া যায়”।
ইসরায়েলের দ্বারা ইরানের বিজ্ঞানীদের হত্যা — নৈতিকতা কোথায়?
ইসরায়েল এ পর্যন্ত ইরানের ১৪ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে, এবং অনেক সময় তাদের পরিবারকেও টার্গেট করেছে।
তবুও পশ্চিমের মিডিয়া এটাকে যথাযথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বলে প্রচার করে।
ধরুন, যদি নাৎসি জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, ওপেনহাইমার, এনরিকো ফার্মিদের খুন করত — তাহলে ইতিহাসে সেটাকে অমানবিক অপরাধ হিসেবে লেখা হতো।
কিন্তু আজ ইসরায়েল যখন একই কাজ করে, সেটিকে "নিরাপত্তার যুক্তি" বলে মান্যতা দেওয়া হয়।
দ্বিচারিতা ও ভণ্ডামির ভয়াবহতা
পশ্চিম এমন এক মনস্তাত্ত্বিক দ্বিচারিতার মধ্যে বাস করে, যেখানে
• একদিকে তারা মানবাধিকারের কথা বলে,
• অন্যদিকে বোমাবর্ষণ করে শহরের ওপর,
• নারীর অধিকার রক্ষার নাম করে তাদের শহর ধ্বংস করে দেয়।
এই দ্বিচারিতা আমরা এতটাই আত্মস্থ করেছি যে আজ সাধারণ মানুষ এইসব জুলুমকেও ন্যায্য বলে মনে করে। 4291555#
 
captcha