IQNA

মধ্যপ্রাচ্যে আরব দেশগুলোর সাথে ইসরাইলের সম্পর্কে যেভাবে উষ্ণতা বাড়ছে

23:11 - November 07, 2018
সংবাদ: 2607148
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল অনেক সময় তার প্রতিবেশীদের জন্য নিজেকে একটি ‘কঠিন প্রতিবেশী’ হিসেবেই ভাবতে ভালোবাসে। তবে সম্প্রতি আরবের কিছু অংশের সাথে দেশটির উষ্ণ বন্ধুত্বের লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: গত মাসের শেষের দিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী হঠাৎ করেই ওমানের সুলতানের সাথে দেখা করেন। এটি ছিলো মাত্র আট ঘণ্টার সফর এবং তাও দু দশকের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো।

সেখানে তিনি পেয়েছেন উষ্ণ আতিথেয়তা- অসাধারণ ডিনার, ওমানের মিউজিক আর সাথে ছিলো ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’। আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল

মিস্টার নেতানিয়াহু তার মন্ত্রীসভাকে জানিয়েছেন এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূত্র ধরেই সামনে কিছু সফরের সম্ভাবনা আছে। আবার প্রায় একই সময়ে ইসরাইলের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রী মিরি রেগেভ ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে।

সেখানে একজন ইসরাইলি অ্যাথলেট স্বর্ণপদক পাওয়ার সময় ও ইসরাইলের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় তাকে আবেগময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গেছে। এটাকেও আরব উপত্যকায় নজিরবিহীন ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

পরে দুবাইতেই আরেকজন ইসরাইলি কর্মকর্তা ‘শান্তি ও নিরাপত্তা’ বিষয়ে কথা বলেছেন আর এখন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী ওমানের রাজধানীতেই প্রস্তাব দিয়েছেন ইসরায়েলের সাথে আরব দেশগুলোর রেল যোগাযোগ স্থাপনের।

সাবেক ইসরায়েলী কূটনীতিক ডোর গোল্ড বলছেন এসব সফরগুলো সত্যিকার অর্থেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ মনে হচ্ছে আসলেই বরফ গলতে শুরু করেছে।

তার মতে অনেক বছর ধরেই এ ধরণের কিছু মিটিং হচ্ছে কিন্তু পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার মধ্যে এক ধরনের অবহেলা ছিলো। তবে এখন সেটি পরিবর্তন হচ্ছে। এর একটি কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ‘ইরান নিয়ে উদ্বেগের’ কথা। কয়েকটি উপসাগরীয় দেশের মতো ইসরাইলও ইরান নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা ইরানকে তাদের জন্য হুমকি মনে করে।

সিরিয়া ও ইরাকের পরিস্থিতির সাথে ইরান ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তারা ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে। লেবানন ও ফিলিস্তিনে হিবুল্লাহকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনও ইসরাইল ও আরব মিত্র দেশগুলোকে সমর্থনের মাধ্যমে ইরানকে চাপে রাখতে চাইছে।

 

captcha