বার্তা সংস্থা ইকনা: জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, গত সপ্তহের শেষের কয়েক দিনে ২২ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশের পালিয়ে এসেছ। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র বাংলাদেশের ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দাবী করেছে সেদেশে বসবাসকৃত রোহিঙ্গা মুসলমানেরা ৯ জন পুলিশকে হত্যা করেছে। সেনাবাহিনীর আনা এই অভিযোগের পর থেকে সেদেশের সামরিক বাহিনী এবং চরমপন্থি বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং বাসগৃহে অগ্নিসংযোগ করেছে।
সম্প্রতি মিয়ানমারের পুলিশদের অত্যাচারের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় ৪ জান পুলিশ সদস্য সেদেশের কয়েকজন মুসলিম যুবকদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছে।
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঐ চার জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে সরকার সেদেশের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আনা অন্য সকল অভিযোগ নাকচ করেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করে। সেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রাথমিক চাহিত এবং ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি "ইয়াং লি" বর্তমান রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য সেদেশে অবস্থান করছেন।