ইরাকের সরকারি সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে ইকনা জানায়, সোমবার (২০ মোরদাদ) কমিটির মুখপাত্র মুকদাদ মিরি কবরুলা মুআল্লায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৬ দিন আগে থেকে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ধৈর্য ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে সব ধরনের সুবিধা ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি জানান, পরিকল্পনায় গোয়েন্দা তথ্য ও থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। এবারের পরিকল্পনা অস্ত্রমুক্তভাবে সম্পন্ন হচ্ছে, পরিবহন ব্যবস্থা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় উন্নত হয়েছে এবং সেবার মানও বেড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী গুজব মোকাবিলায় বুদ্ধিমত্তা, দ্রুততা ও গুরুত্বের সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে।
মিরি জিয়ারতকারীদের নিরাপত্তা ও সেবার অংশীদার আখ্যা দিয়ে সবার সহযোগিতা ও সহমর্মিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, সামগ্রিক পরিবেশ ইতিবাচক এবং গুজবে তা বিঘ্নিত হওয়া উচিত নয়। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা ৩০ লাখেরও বেশি বিদেশি জিয়ারতকারীর প্রবেশ সহজ করেছে।
অন্যদিকে, নাজাফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গণমাধ্যম পরিচালক আম্মার আল-তুফাইলি সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াআ–কে জানান, বিমানবন্দর অব্যাহতভাবে হোসেইনি জিয়ারতকারীদের গ্রহণ করছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, সফরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৮৬৩টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। আগত যাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৮ এবং প্রস্থানকারী যাত্রী ৯১ হাজার ৩৯৬ জনে পৌঁছেছে।
তিনি জানান, রবিবার একদিনেই ১২২টি ফ্লাইট সম্পন্ন হয়েছে, যা যাত্রী ও ফ্লাইটের উচ্চসংখ্যার প্রমাণ। বিমানবন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্নভাবে চলছে। কোনো ফ্লাইট বিলম্বিত হয়নি বা যাত্রী প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়নি। আগত ও প্রস্থানকারী যাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিবহনসহ নানা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ۴۲۹۹۴۸۴#