IQNA

সর্বোচ্চ নেতা

ইসলামি বিপ্লবের বিজয় বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় স্বতঃফুর্ত অংশগ্রহণ শত্রুদের হতাশ করেছে

17:34 - February 15, 2017
সংবাদ: 2602538
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও ইসলামি বিপ্লবের রাহবার হযরত আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী বলেছেন যে, ইসলামি বিপ্লবের ৩৮তম বিজয় বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় ইরানের সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃফুর্ত অংশগ্রহণ শত্রুদের হতাশ করেছে।
ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হুমকি মার্কিন সরকারের একটি কৌশল: সর্বোচ্চ নেতা
বার্তা সংস্থা ইকনা: এছাড়াও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইসলামি বিপ্লবের ৩৮তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় সারা দেশে সর্বস্তরের মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।

আজ (বুধবার) রাজধানী তেহরানে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইন থেকে আসা একদল কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বিপ্লব বার্ষিকীর র‍্যালিতে দেশবাসীর এ ব্যাপক অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন।  

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ইরানে ফারসি ক্যালেন্ডার অনুসারে ২২ বাহমান বিপ্লব বার্ষিকী উদযাপন করার লক্ষ্যে সারা ইরানে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। ১৯৭৯ সালের ওই দিন ইমাম খোমেনী (র)’র নেতৃত্বে মার্কিন সমর্থিত স্বৈরশাসক রেজা শাহের পতন হয় এবং ইসলামি বিপ্লব চূড়ান্তভাবে বিজয় লাভ করে।

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তেহরানের বিরুদ্ধে নানা হুমকি দিয়েছেন। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিপ্লব বার্ষিকীর দিনে ট্রাম্পের এসব হুমকি ও বাগাড়ম্বরের জবাব দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।  

বিপ্লব বার্ষিকীর র‍্যালিতে তরুণ সমাজের ব্যাপক অংশ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এটি ইরানের শত্রুদের বিরুদ্ধে তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রজন্মের বিপ্লব এবং এর মাধ্যমে তারা ইসলামি বিপ্লবের প্রতি তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

বক্তৃতার অন্য অংশে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে তেহরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু ইস্যুতে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে যদি ইরানের পরমাণু সমঝোতা চুক্তি সই না হতো তাহলে ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাত অত্যাসন্ন ছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে তাকে "নির্জলা মিথ্যা" হিসেবে আখ্যায়িত করে তা নাকচ করে দেন সর্বোচ্চ নেতা। ইরানের ওপর চাপিয়ে দেয়া নানা অর্থনৈতিক চাপ এবং নিষেধাজ্ঞাকে তেহরানের বিরুদ্ধে সত্যিকারের যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করে সর্বোচ্চ নেতা প্রশ্ন করেন,  জনগণের মনকে যুদ্ধের দিকে ধাবিত করতে তারা কেন যুদ্ধের কথা বলছে?

ইরানের বিরুদ্ধে অব্যাহত সামরিক হুমকিকে আমেরিকার সাবেক এবং বর্তমান সরকার একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইরানি জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে শত্রুরা তার দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপ জোরদার করছে-এ কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, দেশের বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসে সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
iqna


captcha