IQNA

শবে কদরের ন্যায় ফাতেমা যাহরার (আ.) ফজিলত মানুষের অজ্ঞাত: গবেষক

1:39 - March 02, 2017
সংবাদ: 2602633
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মির বাকেরী বলেছেন যে, যেমন ভাবে শবে কদরের ফজিলত ও মর্যাদা মানুষের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়, তেমনভাবে নবী নন্দিনী ফাতেমা যাহরার (আ.) ফজিলত অনুধাবন কারও পক্ষে সম্ভব নয়।
শবে কদরের ন্যায় ফাতেমা যাহরার (আ.) ফজিলত মানুষের অজ্ঞাত: গবেষক
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইরানের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মির বাকেরী গতকাল এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন: হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা ফাতেমার অসন্তুষ্টিতে অসন্তুষ্ট এবং ফাতেমার রাগান্বিতে রাগান্বিত হন। এ হাদীসটির মাধ্যমে নবী নন্দিনীর সুউচ্চ সম্মান, মর্যাদা এবং ফজিলতের বিষয়টি আমরা কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারি। এখানে দেখার বিষয় হচ্ছে কখন একজন ব্যক্তিত্বের সন্তুষ্টি কিংবা অসন্তুষ্টিতে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট কিংবা অসন্তুষ্ট হন। যখন কেউ আল্লাহর সবচেয়ে নিকটতম ও সান্নিধ্যপ্রাপ্ত হয়, তখনই কেবল এমন অবস্থানে উন্নীত হতে পারে।

তিনি বলেন: রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত"ফাতেমা আমার অস্তিত্বের অংশবিশেষ। যা কিছু তাকে কষ্ট দেয় তা আমাকেও কষ্ট দেয়। আর যা কিছু তাকে পীড়িত করে, তা আমাকেও পীড়িত করে।”

নিঃসন্দেহে পিতা ও সন্তানের মধ্যকার পারস্পরিক ভক্তি ও ভালবাসা কখনও এরূপ অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে পারে না। কেননা, মহানবী (সাঃ) "রাসূলুল্লাহ” হিসেবে আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত অন্য কোন ইচ্ছা করতে পারেন না। আর ফাতেমা যাহরা (আঃ)-এর ইচ্ছার সাথে আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ)-এর ইচ্ছার সম্পৃক্ততা, এটারই প্রমাণ বহন করে যে, তাঁর (ফাতেমার) আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছা কেবল মহান আল্লাহর শাশ্বত ইচ্ছাতে পরিসমাপ্ত ঘটে।

শাবিস্তান

 


captcha