
বার্তা সংস্থা ইকনা: মানব সভ্যতার মতো ভ্রমণের ইতিহাসও অতিপ্রাচীন। আদম আলাইহিস্ সালাম থেকে শুরু করে অদ্যাবধি ভ্রমণের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মূলত সৌর জগৎসহ পৃথিবীর সব কিছুই ভ্রমণ করছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন : সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। চন্দ্রের জন্য আমি বিভিন্ন কক্ষপথ নির্ধারণ করেছি। অবশেষে তা পুরনো খেজুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়। সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের। মূলত প্রত্যেকেই শূন্যলোকে সাঁতার কেটে চলেছে। (সূরা ইয়াসিন, আয়াত : ৩৮-৪০)
পৃথিবীর আদি মানব আদম আলাইহিস সালাম ও তাঁর অর্ধাঙ্গিনীকে সৃষ্টি করার পর তাঁদের জান্নাতে যাওয়া, জান্নাত থেকে বের হওয়া, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর আরাফাতের ময়দানে উভয়ের একত্র হওয়ার ঘটনা ভ্রমণ ইতিহাসের প্রাথমিক রূপ হিসেবে গণ্য।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে ভ্রমণ সম্পর্কে তার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা তুলে ধরেছে। ভ্রমণ করে সৃষ্টিরাজি অবলোকনের মাধ্যমে আল্লাহর অস্তিত্ব অনুধাবনের শিক্ষা গ্রহণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আল্লাহ বলেন : ‘তোমরা ভ্রমণ করে তাঁর (আল্লাহর) অভিনব সৃষ্টিরাজি অবলোকন করো। [সূরা আনকাবুত : ২০]
অন্য দিকে ভ্রমণ করে কাফির-মুশরিকদের করুণ পরিণতির দৃশ্য দেখে সঠিক পথের সন্ধানী হতেও নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন : তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করে দেখ মিথ্যাচারীদের পরিণতি কেমন হয়েছে? (সূরা আল আনআম- ১১)
মহানবী (সা.) বলেছেন: প্রথমে সফর সঙ্গী জোগাড় কর তারপর তাকে চেন এবং সফর কর। তিনি আরও বলেছেন: কখনোই একা সফর কর না। কেননা একাকী সফর করলে শয়তান সঙ্গী হয়। সূত্র: shabestan