বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: «أَیُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ قَدْ أَقْبَلَ إِلَیْکُمْ شَهْرُ اللَّهِ بِالْبَرَکَةِ وَ الرَّحْمَةِ وَ الْمَغْفِرَةِ شَهْرٌ هُوَ عِنْدَ اللَّهِ أَفْضَلُ الشُّهُورِ ... هُوَ شَهْرٌ دُعِیتُمْ فِیهِ إِلَی ضِیَافَةِ اللَّهِ ...» মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) রমজান মাসের খোতবায় বলেন: হে জনগণ! তোমাদের জন্য তোমরা সবাই আল্লাহর মাসের মেহমান। এই মাস হচ্ছে রহমত বরকত ও মাগফিরাতের মাস।
রমজান মাসে আল্লাহ শয়তানকে শিকল দিয়ে বেধে রাখেন কিন্তু তারপরও অনেকেই গোনাহ করে। এটা হচ্ছে মানুষের নিজের দোষ তারা নফসের তাড়নায় আল্লাহর রহমতকে ভুলে শয়তানের পিছনে ছোটে।
রমজানের মর্যাদা ও গুরুত্ব কুরআনের জন্যই। এই মাসের শবে ক্বদরের রাত্রিতেই নাজিল হয় পবিত্র কুরআন। মাসের নাম গুলোর মধ্যে শুধু রমজান মাসের নামই কুরআনে স্থান পেয়েছে।
রামাদান শব্দের অর্থ পোড়ানো। এই মাসে রোজাদারদের পাপ বা গুনাহ পোড়ানো হয়। ইসলাম একটি সহজ সরল ধর্ম। এই ধর্মের ভিত্তি হল সুযোগ সুবিধা ও সরলতা এবং জটিলতা থেকে মুক্তি। তাই রমজান মাসে রোজা রাখা যাদের জন্য কষ্টকর ও অসম্ভব, তারা বছরের অন্য সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে ৩০টি রোজা রাখতে পারে। যদি কোন সময়ই কারো পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে রোজার কাফফারা দিতে হবে। অনুরূপভাবে নামাজের ক্ষেত্রেও যদি অজু করতে অসুবিধা থাকে, তাহলে তায়াম্মুম করার অনুমতি রয়েছে। যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া কষ্টকর হয়, তাহলে বসে অথবা শুয়েও নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে। তাই আল্লাহর কাছে এজন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত যে, তিনি মানুষের শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন এবং কোন ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করেননি। সূত্র: শাবিস্তান