বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মসজিদ আল্লাহর ঘর তা মানুষের অন্তরে প্রশান্তি দান করে। মসজিদ হচ্ছে নামাজ ও ইবাদতের স্থান। যাকে হাদিসের ভাষায় পৃথিবীর বুকে আল্লাহর ঘর, শহর ও গ্রামের সব থেকে পবিত্র এবং ভাল স্থান। আর মসজিদ হচ্ছে মুত্তাকীদের ঘর।
মসজিদে যাতায়াত করলে জীবনে বরকত আসে। ইসলামী শরীয়তে মসজিদে প্রবেশের বিশেষ পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। যারা মসজিদে নিয়মিত যাতায়াত করে তারা নিজেরাও বলতে পারে যে মসজিদে যাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত কত বেশী।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) বলেছেন: যারা নিয়মিত মসজিদে যাতায়াত করে তারা ৮টি ভাল জিনিস প্রাপ্ত হয়, যথা: ১- ঈমানদান দ্বীনি ভাই সেখানে পায়, ২- নতুন নতুন ইসলামী শিক্ষা প্রাপ্ত হয়, ৩- কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা পায়, ৪- হেদায়েতের বাণী শুনতে পায়, ৫- আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হয়, ৬- যা তাকে গোমরাহি থেকে মুক্তি দেয় সেই সকল আলোচনা শুনতে পায়, ৭- আল্লাহর ভয়ে গোনাহ পরিত্যাগ করে,৮- মু’মিন ভাইদের লজ্জায় গোনাহ পরিত্যাগ করে।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: «المَساجِدُ سُوقٌ مِن اَسواق ِالآخِرَةِ قِراها المغفِرةُ و تُحفَتُها الجَنة؛ মসজিদে হচ্ছে আখিরাতের বাজর সমূহের একটি বাজার। সেখানের সওদা হচ্ছে গোনাহ থেকে মুক্তি আর হাদিয়া বা উপহার হচ্ছে বেহেশত।
সূরা তাওবার ১৮ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন,
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آَمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآَتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللَّهَ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِينَ
তারাই আল্লাহর মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ করবে যারা আল্লাহতে ও পরকালে বিশ্বাস করে এবং যথাযথভাবে নামাজ পড়ে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। ওদেরই সৎপথ প্রাপ্তির আশা আছে।
যদিও এই আয়াতটি মসজিদুল হারাম বা কাবা শরীফকে উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই ঐশী নির্দেশ সকল মসজিদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। শাবিস্তান