বার্তা সংস্থা্ ইকনা'র রিপোর্ট: রাসূল (সা.)-এর ওফাতের অল্প কিছুদিন পরই মিল্লাতে মুহাম্মাদি একই রাহুগ্রাসের সম্মুখীন হয় তখনই ত্রাণকর্তা হিসেবে এগিয়ে আসেন আখেরি নবীর কনিষ্ঠ দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (আ.)। আত্মপরিচয়হীন মিল্লাত, স্বৈরাচারী পুঁজিবাদী শাসকশ্রেণি আর ইন্দ্রিয়সর্বস্ব আলেমশ্রেণির সামনে দাঁড়িয়ে কারবালার প্রান্তরে মহররমের ১০ তারিখ নিজের ৬ মাসের পুত্র আলী আসগার, নিকটতম আত্মীয় এবং মুষ্টিমেয় সঙ্গী সাথে নিয়ে কারবালার ময়দানে শাহাদাতবরণ করেন এবং আদর্শহীন ঘুমন্ত উম্মতে মুহাম্মাদীর উদ্দেশ্যে এই বাণীই রেখে যান যে, জাগো! সাক্ষ্য দাও- স্বৈরাচার, পুঁজিবাদ, অনাচার, অযাচার, ভণ্ডামি, অজ্ঞতার বিরুদ্ধে এবং তাওহীদ ও রিসালাতের পক্ষে।
কারবালার সংগ্রাম ছিল ইমাম হুসাইন নামের এক মহান শিল্পীর দক্ষ হাতের তুলির ছোঁয়ায় আঁকা একটা অনবদ্য চিত্র। ইমাম এবং তাঁর আহলপুরিদের জীবনপরিচয়, অবদান, মজলুমিয়াত নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে এবং কলমের কালি সব ফুরিয়ে ফেললেও তাঁদের অবদানের সঠিক মূল্যায়ন আমরা করতে পারব না। তাই ইমামপুরিকে তাঁদের মাকামে রেখেই আজ পেশ করতে চাই ইমাম হুসাইনের সহযোগীদের পরিচয়- যাঁদের সম্পর্কে ইমাম আশুরার রাতে বলেছিলেন, "আমার সহযোগী এবং পরিজনদের চেয়ে উত্তম কোনো সহযোগী আর পরিজন খুঁজে পাইনি!” যার ফলে আমরা বুঝতে পারব কারবালার আদর্শিক সামগ্রিকতা এবং সর্বজনীন অনুপ্রেরণা।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সৎ কাজের দাওয়াত আর অসৎ কাজ থেকে সতর্ক করার সংগ্রামে,
স্বৈরাচার, পুঁজিবাদ আর অশ্লীলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইমামের ডাকে সাড়া দিয়ে
একবিন্দুতে মিলিত হয়েছিল সমগ্র মানবতার একটা ক্ষুদ্র মডেল। তাঁরা ইমামের
সাথে দাঁড়িয়ে সমস্বরে বলছেন, জাগো ঘুমন্ত মানবতা, জাগো- সাক্ষ্য দাও! আর
তাঁদের এই ডাকের মর্মবাণী উপলব্ধি করার মাধ্যমেই আমরা পারি ক্ষুদ্র
ব্যাক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থকে ত্যাগ করতে এবং গোত্র ও মাজহাবের সংঘাত বন্ধ
করে মানবতার বৃহত্তর স্বা্র্থে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যেতে। শাবিস্তান