IQNA

 নিজ দেশে ফিরে যেতে চান রোহিঙ্গারা

20:15 - January 03, 2023
2
সংবাদ: 3473109
তেহরান (ইকনা): গত মধ্যরাতে শুরু হয়েছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৩। নতুন বছরে নিজ দেশে ফেরার যাত্রা শুরুর আকুতি জানিয়ে ক্যাম্পে সমাবেশ করেছেন রোহিঙ্গারা। গতকাল শনিবার বিকালে গো হোম ক্যাম্পেইন-২০২৩ স্লোগানে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ সমাবেশ করা হয়। দীর্ঘ সময়েও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় সমাবেশে হতাশা প্রকাশ করেন রোহিঙ্গা নেতারা।
তারা বলেছেন, বাংলাদেশের বোঝা হয়ে আর থাকতে চাই না। বিশ্বে সব জাতিশ্রেণির মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ উদযাপন করবে কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ নেই। আমরা তখনই আনন্দ উদযাপন করে শান্তি পাব যখন নিজ দেশে ফিরতে পারব। এটাই আমাদের অন্যতম দাবি। সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে কুতুপালং, বালুখালী ও লম্বাশিয়াসহ আশপাশের ক্যাম্প থেকে খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন রোহিঙ্গারা। সমাবেশে পুরুষের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী-শিশুরা যোগ দেন। এ সময় এনাফ ইজ এনাফ, লেটস গো হোম সংবলিত পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে দেশে ফেরার দাবি তোলেন রোহিঙ্গারা। সমাবেশে হাজারো রোহিঙ্গা অংশ নেন। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় ও প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার রোহিঙ্গা নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন।
 
 
সমাবেশে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, নতুন বছর এলে পুরো দুনিয়ার মানুষ নিজ নিজ দেশে আনন্দ উদযাপন করে। কিন্তু শরণার্থী জীবনে রোহিঙ্গাদের নতুন বছর বরণের সুযোগ নেই। সামনের দিনগুলোতে আমরা আমাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে নতুন বছর উদযাপন করতে চাই। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের অনুরোধ, রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর কার্যকর ব্যবস্থা নিন। গত পাঁচ বছর ধরে শুধু চোখের পানি ফেলছি, আপনারা এসে আমাদের চোখের পানি দেখে যান।
 
রোহিঙ্গা নেতা মৌলবি আবদু রহিম বলেন, নতুন বছর আসে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার কোনো বার্তা আসে না। ২০২৩ সালে আমাদের দেশে ফেরা শুরু হোক। এটাই আমাদের প্রধান দাবি। আমরা আশা করছি, বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের নিজ দেশে ফেরার সুযোগ করে দেবে।
 
 
এদিকে, রোহিঙ্গাদের গো হোম ক্যাম্পেইন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক সৈয়দ হারুন উর রশিদ। তিনি বলেন, নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে মিয়ানমারে ফেরার দাবি জানিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন রোহিঙ্গারা। 4111331
 
 
প্রকাশিত: 2
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
Shayon
0
0
On the one hand, the long-term presence of Rohingyas in Bangladesh is problematic for a small nation like Bangladesh and is negatively affecting the environment of this place. This issue requires an immediate fix.
Quddus Shekh
0
0
Living in a small nation like Bangladesh presents challenges for the Rohingya, and it also negatively impacts Bangladesh's natural ecosystem. In the area of Bangladesh where the Rohingya have sought refuge, the locals are aware of these facts. Bangladesh's government and people are sympathetic to the Rohingyas, but how long will that last? They should have travel arrangements made so they can go home.
নাম:
ই-মেল:
* আপনার মন্তব্য:
captcha