যুরা (যুক্তরাজ্য) আইনবিদ উকিলরা অস্ত্র রফতানি কেস বা মামলা প্রসঙ্গে বলেন: গাযায় গণহত্যার কোনো প্রমাণ নেই!! ইসরাইলী সেনাবাহিনী নাকি নারী ও শিশুদের টার্গেট করে বোমাবর্ষণ করছে না।
এ খবর ও প্রতিবেদন নিয়ে কিছু কথা:
আমি আগেও বলেছিলাম যে পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা (যুক্তরাজ্য) এমনকি জাতিসংঘ গাজায় যে ৬০০০০ এর অধিক ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে তা বলে না ও স্বীকার করে না বরং জাতিসংঘ ৮০০০এর কিছু বেশি বেসামরিক গাজাবাসীর মৃত্যু ( না গণহত্যা) নিশ্চিত করেছে যেহেতু ঐ নিহতদের মৃত্যু স্বতন্ত্র ভাবে সমর্থিত ও নিবন্ধিত হয়েছে। আর ইসরাইলী বোমা হামলা ও গোলাবর্ষণে যে ৬০০০০এর অধিক গাযাবাসী নিহত হয়েছেন তা আসলে হামাসের দাবি যা এখনও স্বতন্ত্র ভাবে সমর্থিত হয় নি পশ্চিমাদের এবং জাতিসংঘের কাছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছুই বলা হয় নি। বরং ইসরাইলের দাবি যে তারা বোমাবর্ষণ করে হামাসের টেরোরিস্টদের শুধু হত্যা করেছে ও করছে এবং এতে করে কোল্যাটারাল ড্যামেজ হিসেবে কিছু নারী ও শিশু সহ অল্প সংখ্যক বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাতেও পারে যা আসলে আনঅ্যাভয়ডেবল।
এ ভাবে কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে গাযায় ইসরাইলের গণহত্যা,প্রজন্ম হত্যা,যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে সকল অপরাধ অস্বীকার করছে খোদ ইসরাইল ও পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), যুরা(যুক্তরাজ্য) ও ফরা (ফ্রান্স),জরা ( জার্মানি) গংরা। এই পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরা-যুরা-ফরা-জরা গং দিনকে রাত রাতকে দিন , তিলকে তাল ও তালকে তিল দেখাতে খুবই পটু, ওস্তাদ ও দক্ষ। কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে ওরা এসব করে ওদের যাবতীয় অন্যায়, অপকর্ম ও অপরাধ ধামাচাপা দিয়েছে, দিচ্ছে,দেয় এবং দেবে। আর আমাদের হাদারাম গর্দভ পাশ্চাত্য প্রেমী পাশ্চাত্য পূজারী পাশ্চাত্য আধুনিক শিক্ষিত সুশীল সুধী বুদ্ধিজীবী (অথর্ব বুদ্ধুজীবী) সমাজ এবং এলিট শ্রেণী পাশ্চাত্য প্রীতি, পাশ্চাত্য ভক্তি ও পাশ্চাত্য ভীতির কারণে পাশ্চাত্যের এসব উদ্ভট অমূলক বস্তাপচা তত্ত্ব মত্ত, পরিভাষা ও ভাওতাবাজির বুলির কাছে সামনে দুর্বল হয়ে যায় এবং ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভোগে।
পশ্চিমারা গত তিন চার শতাব্দী ধরে বিশ্বব্যাপী যে গণহত্যা, প্রজন্ম হত্যা, অপকর্ম, দুর্নীতি ও মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে ও করেই যাচ্ছে তা তৌজীহ্ (توجیه) অর্থাৎ অপব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে দেখায় যে তারা কোনো গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধই করে নি!! আর আমাদের পাশ্চাত্য আধুনিক শিক্ষিত এলিট-মেলিট , বুদ্ধিজীবী সুধী সুশীল সমাজ পশ্চিমাদের এসব গলদ অপব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ চোখকান বন্ধ করে মেনে নেয় অর্থাৎ পশ্চিমারা ওদেরকে যে সব অখাদ্য কুখাদ্য গেলায় ও খাওয়ায় তা তারা গোগ্রাসে গিলে ও খেয়ে ফেলে। আমাদের শিক্ষিত সুশীল সমাজ পশ্চিমাদের তথাকথিত বস্তাপচা পরিভাষা সমূহ দিয়ে মারাত্মক ভাবে অন্ধ, আক্রান্ত ও বিভ্রান্ত। এখন সময় এসেছে পশ্চিমাদের বস্তাপচা বস্তুবাদী ভোগবাদী মতাদর্শ ও মতবাদের তথাকথিত বৈজ্ঞানিক তাত্ত্বিক লোভনীয় ,আকর্ষণীয়,মনোজ্ঞ ও চমৎকার পরিভাষা সমূহ বর্জন ও প্রত্যাখ্যানের।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান,