ফিলিস্তিনি তথ্যকেন্দ্র সূত্রে ইকনা জানিয়েছে, হাআরেত্জ নামে হিব্রু ভাষার দৈনিক পত্রিকার নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইউসি মেলম্যান এক্স (সাবেক টুইটার) এ একটি পোস্টে লেখেন:
“নেতানিয়াহু সরকার সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায়কে সহায়তা করতে চায়—এই দাবি এক ধরনের ভণ্ডামি ও কপটতা। যদি সরকার সত্যিই দারুজিয়া নিয়ে চিন্তিত হতো, তবে তারা ‘জাতি-রাষ্ট্র আইন’ বাতিল বা অন্তত সংশোধন করত।”
এই আইনটি সংসদ সদস্য আভি ডিখটার (লিকুদ পার্টি) পেশ করেন এবং ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ৬২-৫৫ ভোটে ইসরায়েলি সংসদ কনসেট-এ পাস হয়।
মেলম্যান বলেন, এই আইনটি “দ্রুজ, চেরকেস ও ১৯৪৮ সালের অভ্যন্তরীন ফিলিস্তিনি আরবদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক।”
‘আদালাহ’ নামক ইসরায়েলি আরব সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে জানায়:
> “এই জাতীয় আইন ইসরায়েলকে শুধু ইহুদি জাতির রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। এর ফলে রাষ্ট্রের ধর্মীয় পরিচয় পাকা পোক্ত হয়, কেবল ইহুদিদের বিশেষাধিকার দেয়, আরব ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে বৈষম্যকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় এবং বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বৈধতা প্রদান করে।”
ইসরায়েলি সরকারি তথ্যমতে, ইসরায়েলে প্রায় ১,৫২,০০০ দ্রুজ বাস করে, যারা কার্মেল ও গালিল অঞ্চলের ২২টি গ্রামে ছড়িয়ে আছে।
গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল, ‘সিরিয়ার দ্রুজদের সুরক্ষা’-র অজুহাতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোকে নিরস্ত্র করতে চাইছে।
এই প্রেক্ষিতে, সিরিয়ার সেনাবাহিনী সোমবার সুয়েইদা শহরে প্রবেশ করে, যেখানে দ্রুজ ও বেদুইন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভারী অস্ত্রসহ সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, যানবাহন জব্দ করার ঘটনা থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়।
সূত্র মতে, অধিকাংশ হতাহত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য হলেও কিছু বেসামরিক লোকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা (সানা)-র সন্ধ্যার রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছে। 4294928#