আল-আরাব ফি ব্রিটানিয়া ওয়েবসাইটের বরাতে ইকনা জানিয়েছে, এই ঘটনা শেফিল্ডের সমাজকে স্তম্ভিত করেছে। অভিযুক্ত ৬৬ বছর বয়সী এডমন্ড ফাওলার, একটি জীবিত ইঁদুর মসজিদের উঠানে ছেড়ে দেয় এবং এই কাজ নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে।
শেফিল্ডের আদালত জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ফাওলার তার কালো রঙের অডি গাড়ির ট্রাঙ্ক থেকে একটি খাঁচা বের করে ইঁদুর ছাড়ছে। তদন্তে উঠে এসেছে, সে মে থেকে জুন মাসের মধ্যে চারবার এই কাজ করেছে, প্রতিবার ভিডিও ধারণ করেছে এবং নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদেরকে বর্ণবাদী ভাষায় গালাগাল করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, তারা এক ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে তিনটি ইঁদুর নামিয়ে মসজিদের পাশে ছেড়ে দিতে দেখেছেন। এরপরই ফাওলারকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত বলেছে, তার এই কার্যকলাপ চরম রকমের বর্ণবাদী হয়রানির শামিল।
আদালত ফাওলারকে ১৮ সপ্তাহের কারাদণ্ড (১৮ মাসের জন্য স্থগিত), মসজিদ ও শহরের কিছু নির্দিষ্ট স্থানের কাছে না যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা, ১৫ দিনের পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং ২৩৯ পাউন্ড জরিমানা করার আদেশ দেয়।
তবে বিচারকরা জানান, ফাওলারের এই ঘৃণ্য কাজের পেছনের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়, যদিও সে অপরাধ স্বীকার করেছে।
এই ধরনের অপরাধ শুধু মুসলিমদের মর্যাদায় আঘাত করে না, বরং ইংল্যান্ডের সহাবস্থান ও পারস্পরিক সম্মানবোধের সামাজিক কাঠামোকেও হুমকির মুখে ফেলে। কিন্তু এ ধরণের অপরাধে হালকা শাস্তি দেওয়া, ঘৃণাভিত্তিক বক্তব্য ও বর্ণবাদী হামলার ব্যাপারে সরকারের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে সকল ব্রিটিশ নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা পায়। 4294992#