সরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বৈঠক আহ্বান করেছেন। এতে ইউরোপের কয়েকটি দেশ আসন্ন সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ডানপন্থী নেতা বেজালেল স্মোটরিচ পশ্চিম তীরের সম্পূর্ণ দখল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে নিউইয়র্কে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ আয়োজনে ফিলিস্তিনবিষয়ক এক সম্মেলনে একাধিক দেশ, বিশেষ করে কয়েকটি ইউরোপীয় রাষ্ট্র, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি ঘোষণা করে।
সোমবার বিকেলে ইসরায়েলি সেনাদের ড্রোন হামলায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় আল-খিয়াম শহরে অন্তত চারজন সিরীয় নাগরিক আহত হয়েছেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি ড্রোনটি ওই এলাকায় একটি রকেট নিক্ষেপ করে। এর আগেও গত শনিবার ও শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননের একাধিক স্থানে ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, এসব হামলায় হিজবুল্লাহর ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা সারায়া আল-কুদস ঘোষণা করেছে যে, গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের একটি গোয়েন্দা ড্রোন তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
একই সময়ে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডও ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে তাদের নতুন অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় যোদ্ধারা ট্যাঙ্কবিধ্বংসী বিস্ফোরক ও ফাঁদ ব্যবহার করছে।
তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া-লেবানন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টম বারাক সোমবার ইসরায়েলকে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, লেবানন সরকার হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন ইসরায়েলকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
লেবাননের সংসদ স্পিকার নাবিহ বেরি এই প্রসঙ্গে বলেন, হিজবুল্লাহ অস্ত্রবিরতির পর থেকে একবারও গুলি চালায়নি, কিন্তু ইসরায়েল এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ইসরায়েল দায়িত্ব পালন না করলে হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণের প্রসঙ্গ গ্রহণযোগ্য নয়।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মাহমুদ মর্দাওয়ি বলেছেন, বর্তমানে সমঝোতার দরজা পুরোপুরি খোলা। তবে নেতানিয়াহু যেন পূর্বের মতো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করেন।
হামাস জানিয়েছে, তারা কায়রোতে অনুষ্ঠিত মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর মিসরের দেওয়া নতুন প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।
এই প্রস্তাবে রয়েছে— জীবিত ১০ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি, নিহত ১৮ জন বন্দির লাশ হস্তান্তর, জাতিসংঘ ও রেডক্রসের মাধ্যমে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ, ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি, এবং যুদ্ধ শেষ করতে সমান্তরাল রাজনৈতিক আলোচনা শুরু। 4300626#