IQNA

৩৩তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী প্রতিনিধি;

কুরআন হেফজ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পেয়েছি / পবিত্র কুরআনের বরকত অনুভব করতে হয়ে, মুখে প্রকাশ যোগ্য নয় + ছবি

2:15 - May 18, 2016
সংবাদ: 2600796
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৩৩তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী প্রতিনিধি বলেছেন: কুরআন হেফজ করার পূর্বে কেউ আমাকে চিনত না, এমনকি আমি নিজেই নিজেকে আবিষ্কার করতে পারিনি; তবে যখন আমি কুরআন হেফজ করলাম, তখন থেকে অনেক বরকত খুঁজে পেয়েছি।

ইরানে ৩৩তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রতিনিধি "তানভীর হুসাইন" এক সাক্ষাতকারে বার্তা সংস্থা ইকনাকে জানিয়েছেন: কুরআন হেফজ করার পূর্বে কেউ আমাকে চিনত না, এমনকি আমি নিজেই নিজেকে আবিষ্কার করতে পারিনি; তবে যখন আমি কুরআন হেফজ করলাম, তখন থেকে অনেক বরকত খুঁজে পেয়েছি।

তানভীর হুসাইনের ২০ বছর বয়স । তিনি বলেন: কুরআন হেফজ করে, যে সকল বরকত আমি খুঁজে পেয়েছি তার মধ্যে একটি হচ্ছে ইরানে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ। আমি বিভিন্ন স্থানে অনেক পুরস্কার ও পদক পেয়েছি; তবে সেগুলো আমার নিকট ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মহান আল্লাহর বরকত, যা আমাকে তিনি দান করেছেন।

তানভীর হুসাইন আরও বলেছেন: মহান আল্লাহর অনেক বরকত আছে যা শুধুমাত্র অনুভব করা সম্ভব এবং কথা বলার মাধ্যমে তা বলা সম্ভব নয়। কুরআন হেফজ করার মাধ্যমে আমি যে আধ্যাত্মিক সম্মান ও পদক পেয়েছি, তা আমি শুধুমাত্র অন্তর দিয়ে অনুভব করি এবং সেটাই আমার নিকট সবচেয়ে মূল্যবান।

তিনি বলেন: ইরান প্রথম বারের মত শুধুমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এটা আমার নিকট অনেক আকর্ষণীয় মনে হয়েছে; কারণ, পূর্বে যে সকল প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করেছি, সেখানে আমার প্রতিদ্বন্দীগণ শুধুমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধীই ছিলেন না। সেখানে অনেক স্বাভাবিক প্রতিযোগীরাও উপস্থিত ছিলেন। ইরানে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমার মনে হয়েছে যে, আমি একা নয়। প্রতিযোগিতার অন্যান্য প্রতদ্বন্দীরা আমার মতই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এ বিষয়টি আমার নিকট অনেক ভালো লেগেছে এবং অনেক আকর্ষণীয় মনে হয়েছে।

সর্বশেষে তিনি মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন: মিডিয়ার উদ্দেশ্যে আমার কিছু কথা রয়েছে। আমি মনে করি মিডিয়ার দায়িত্ব হচ্ছে, ইরানের আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা, বিশেষ করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিষয়টি বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিকট পৌঁছে দেওয়া। যাতে করে তারাও ইরানকে অনুসরণ করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য এধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

তানভীর হুসাইন ৫ বছর থেকে তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের নিকট কুরআন মুখস্থ করতে শুরু করেন। বর্তমানে তার বয়স ২০। এ পর্যন্ত তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং অনেক স্থান থেকে সাফল্য অর্জন করেছেন।

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম স্থানের অধিকারী হয়েছেন।

Iqna


ট্যাগ্সসমূহ: বাংলাদেশী ، কুরআন ، ইকনাকে
captcha