আরবি ২১–এর বরাত দিয়ে ইকনা জানায়, আল-সাল্লাবি এই হত্যাকাণ্ডকে একটি স্পষ্ট সন্ত্রাসী অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, নিরস্ত্র সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা, যাদের একমাত্র অপরাধ হলো গাজায় যা ঘটছে তা বিশ্বকে জানানো—এটি ইসরায়েলি দখলদারদের অপরাধনীতির এক বিপজ্জনক তীব্রতা নির্দেশ করে। এর মাধ্যমে তারা সত্যকে বিশ্বে পৌঁছানো থেকে বিরত রাখতে এবং “এখন পর্যন্ত দেখা যেকোনো ঘটনার চেয়ে আরও নৃশংস গণহত্যার” পথ প্রশস্ত করতে চাইছে।
তিনি উল্লেখ করেন, পশ্চিমা দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক সমর্থনের কারণে এবং কোনো আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না থাকায় এই অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, যা ইসরায়েলি অপরাধকে আড়াল করে এবং দখলদার বাহিনীকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছে।
আল-সাল্লাবি সতর্ক করে বলেন, সিয়োনিস্টদের হত্যা মেশিন কোনো মানবিক মূল্যবোধের তোয়াক্কা করে না। সাংবাদিকদের হত্যা হচ্ছে সত্যের কণ্ঠরোধ এবং যুদ্ধাপরাধের সাক্ষী ধ্বংসের একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যারা সত্য বলে, যদি তারাই লক্ষ্যবস্তু হয়, তাহলে কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় যে অপরাধ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে না?
তিনি আরও বলেন, গাজায় চলমান বিধ্বংসী যুদ্ধ সব লাল রেখা অতিক্রম করেছে এবং সব পর্যায়ে এটি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বকে এই আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও এর অবসানে বড় ধরনের দায়িত্ব নিতে হবে।
আল-সাল্লাবি আবারও আরব ও মুসলিম বিশ্বকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, ফিলিস্তিন সিয়োনিস্ট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাচীর; যদি এটি পতিত হয়, তবে আরব বিশ্বের বাকি অংশও একে একে পতিত হবে।
তিনি শেষ বক্তব্যে বলেন, গাজার যুদ্ধ হচ্ছে হক ও বাতিলের মধ্যে এক লড়াই। শহীদ সাংবাদিকরা অপরাধ ও অবিচার প্রকাশে এক মহান বার্তা রেখে গেছেন এবং অবশেষে বিজয় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষেই আসবে।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় সোমবার জানিয়েছে, তেলআবিবের বিমান হামলায় গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ষষ্ঠ সাংবাদিক নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলি গণহত্যায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮ জনে।