আল্লাহ তায়ালা তওবা কারীদের অত্যন্ত ভালবাসেন। বান্দা যখন তার অপরাধের জন্য অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দার তওবাতে কি পরিমাণ আনন্দিত হন তা নিম্নোক্ত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খাদেম আবু হামযা আনাস বিন মালিক রা. বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, اللَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ مِنْ أَحَدِكُمْ سَقَطَ عَلَى بَعِيرِهِ ، وَقَدْ أَضَلَّهُ فِى أَرْضِ فَلاَةٍ
কোনও লোক বিজন মরু প্রান্তরে উট হারিয়ে যাবার পর পুনরায় তা ফেরত পেলে যে পরিমাণ আনন্দে উদ্বেলিত হয় মহান আল্লাহ বান্দার তওবাতে তার চেয়েও বেশি আনন্দিত হন।
তওবা করা হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ পালন। আর তাঁর নির্দেশ পালনেই নিহিত আছে ইহ ও পরকালের পরম সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ। কারণ,তিনি দিনে একশ বার তওবা করতেন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণের মাধ্যমেই আল্লাহর ভালবাসা অর্জন করা যায়। মহান আল্লাহ বলেন, قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ
হে নবী,আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসো তবে আমার অনুসরণ কর তবে আল্লাহ ও তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। (সূরা আলে ইমরান-৩১)
তওবার মাধ্যমে গুনাহ সমূহ কেবল মোচন করা হয় না বরং সেগুলো নেকীতে রূপান্তরিত করে দেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ
কিন্তু যারা তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহ গুলোকে নেকী দ্বারা পরিবর্তিত করে দিবেন। (সূরা আল ফুরকান-৭০) - শাবিস্তান