এই প্রদেশের 'তাহনান' নামক একটি গ্রাম। সম্প্রতি এই গ্রামে খৃস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আর এর ফলে মিশরের মিডিয়ার শিরোনামে এই অজানা গ্রামের কথা উঠে আসে।
খৃস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষ ছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রমে সংগঠিত হয়েছে; যারফলে দুই গ্রুপের মধ্যে শান্তি স্থাপন হয়েছে এবং তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খৃষ্টান বৃদ্ধার কুরআন প্রশিক্ষণ দেওয়া।
মিশরের ৮৫ বছরে খৃস্টান "ইয়াদ হানা শাকের" কুরআনের হাফেজ এবং দীর্ঘদিন যাবত কুরআন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। "ইয়াদ আল আরেফ" নামে প্রসিদ্ধ ইয়াদ শাকের। তিনি নিজে খৃস্টান এবং একটি গির্জায় কর্মরত রয়েছেন।
ইয়াদ যুবক বয়সে কুরআন হেফজ করেন এবং তখন থেকেই কুরআন প্রশিক্ষণ দেন। এপর্যন্ত ১৫০০ জন মুসলিম শিক্ষার্থীকে কুরআন হেফজ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
গ্রামের গির্জার একটি রুমে তিনি থাকেন এবং তিনি 'মকতব খানে'র পরিচালক। ইয়াদ হানা তার মকতব খানে মুসলমানদের কুরআন প্রশিক্ষণ দেন এবং খৃষ্টানদের বাইবেল প্রশিক্ষণ দেন।
এপর্যন্ত ১৫০০ জন মুসলিম শিশুকে কুরআন প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং তারা সকলেই কুরআনের হাফেজ হয়েছেন।
ইয়াদ হানা তার কুরআন শিক্ষার ব্যাপারে বলেন: আমার পিতা একজন খ্রিস্টান যাজক ছিলেন। মুসলমানদের বিভিন্ন (শোক) অনুষ্ঠানে তিনি বক্তৃতা প্রদান করতেন। তার বক্তৃতায় তিনি পবিত্র কুরআনের আয়াত ব্যক্ত করতেন এবং সেই সম্পর্কে আলোচনা করতেন। আমি আমার পিতার নিকট হতে কুরআন শিখি।
তিনি বলেন: যুবককালে সরকারী চাকরি করার জন্য আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমি সেই চাকরির প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দেয় এবং তখন থেকে সিদ্ধান্ত নেই, গ্রামের মানুষদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করব। তাহনান গ্রামের গির্জার পাশে একটি রুম নির্মাণ করি এবং তখন থেকেই ঐ রুমে আরবি ভাষা, ইসলাম ও খৃষ্টান ধর্মের শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেয়।
মুসলিম শিশুদের কুরআন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে তিনি বলেন: আমি নিজে কুরআন শেখার পর সিদ্ধান্ত নেই, মুসলমানদের কুরআন শিক্ষা প্রদান করব।