
বিশ্বখ্যাত মুসলিম মনীষী এবং পবিত্র কুরআনের মুফাসসির হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলী গতকাল তাফসীরের ক্লাসে সূরা ফুসসিলাতের ৯ থেকে ১৩নং আয়াতের তাফসীর আলোচনায় উল্লেখ করেন: পবিত্র কোরআন কখনও পৃথিবীকে আবার কখনও পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষদের কয়েকটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছ।
আল্লাহ তায়ালা আকিদাগত বা বিশ্বাসের দিক থেকে মানুষকে কয়েকটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন। যথা: মু'মিন, কাফির, মুশরিক। আবার মারেফাতের দিক থেকেও মানুষ কয়েক প্রকারের; যেমন: জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান, অজ্ঞ ও কম বুদ্ধিসম্পন্ন।
জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সব সময় বিচার-বিবেচনার সাথে অগ্রসর হয় কিন্তু অজ্ঞ ও কম বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা সাধারণত প্রবৃত্তির তাড়না ও নিজেদের কল্পনার উপর ভিত্তি করে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে কখনও বিশ্বজগতের স্তরভেদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। আল্লাহ জমিনকে কিভাবে সৃষ্টি করেছেন, কতদিনে এ সৃষ্টি করেছেন। এ বিশ্বজগত কখনও আসমান ও জমিনসমূহের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে আবার কখনও পৃথিবী বা দুনিয়ার মধ্যে। আবার দুনিয়াকে কখনও ৫টি পর্যায়ে আবার কখনও ২টি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআনের বর্ণনা করা হয়েছে:
অর্থাৎ- জেনে রেখ! দুনিয়ার জীবন শুধু ভোগ-বিলাশ, পরস্পরের প্রতি অহংকার এবং সম্পদ ও সন্তানাদির আধিক্যের নাম নয়। আর এগুলোর মধ্যে মানুষের কোন পরিপূর্ণতা নেই।
পবিত্র কুরআনে দুনিয়া ও পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে অধিক আয়াত বর্ণিত হয়েছে। এ সব আয়াতের কোনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ পৃথিবী ৬ দিনে সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোন আয়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, এ পৃথিবী ও আসমানের মাঝে যা কিছু আছে তা ৬ দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে ৬ দিন বলতে ৬টি পর্যায় কিংবা ৬টি স্তরকে বুঝান হয়েছে। কিন্তু এর পরিধি ও ব্যাপকতা কেমন তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।