১৯৮৭ সালে হজযাত্রীরা কাফির ও মুশরিকদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার ফরজ দায়িত্ব পালন করার সময় মার্কিন ও ইসরাইল-বিরোধী শ্লোগান দেয়ায় সৌদি সেনাদের গুলিতে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ হাজি শহীদ হন। শহীদদের বেশিরভাগই ছিলেন ইরানি নারী ও পুরুষ হজযাত্রী।
এসময় তিনি বলেন: ১৯৮৭ সালের হজ অনুষ্ঠানে আলে সৌদি হাজীদের উপর পাশবিক হামলা চালিয়ে হাজিদেরকে মর্মান্তিক ভাবে নিহত করেছে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা এর প্রতিশোধ নেবেন।
তিনি বলেন: সৌদি আরবে ৭ হাজার হাজি নিহত হয়েছেন। পবিত্র কাবায় পশুপাখিদের জন্যেও একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল; অথচ সেখানে হাজীরা তৃষ্ণার্ত অবস্থায় নিহত হয়েছেন। অনেক হাজি দীর্ঘক্ষণ জীবিত ছিলেন কিন্তু শুধুমাত্র পানি পান করতে না পারায় নিহত হয়েছেন। অতি আশ্চর্যের বিষয় বর্তমানে দুনিয়া কোথায় যাচ্ছে। মিনা দুর্ঘটনায় প্রতিবাদে একমাত্র ইরান ছাড়া অন্য কেউই প্রতিবাদ করেনি। মিনা দুর্ঘটনার প্রতিবাদে আরবি ও অ-আরবি দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কোন প্রতিবাদ করেনি। হাজিদের রক্ষার্থে প্রতিবাদ করেনি। আলে সৌদির নিকট নিজেদের রক্তের কোন কৈফিয়ত চাইনি। কেন দুনিয়া সকল অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করছে।
আয়াতুল্লাহ জান্নাতি বলেছেন, আল্লাহর ঘর সবচেয়ে নিরাপদ রাখা জরুরি হওয়া সত্ত্বেও সৌদি কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও অদূরদর্শিতার কারণে মিনায় হাজার হাজার নিরপরাধ হজযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন এবং এমনকি আহত হজযাত্রীদেরকেও সড়কগুলোতে ফেলে রাখা হয় যা সৌদি কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততারই প্রমাণ।
তিনি ইসলাম থেকে বিচ্যুত ওয়াহাবিদের অব্যাহত সন্ত্রাসী ও অমানবিক তৎপরতার কথা তুলে ধরে বলেছেন, এই ফেরকাটি সব সময়ই মুসলমানদের স্বার্থ-বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তারা মুসলিম বিশ্বের ক্ষতির জন্য সব ধরনের অপরাধে জড়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন: সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনায়ী আলে সৌদকে বিপথগামী, সম্মানহীন, হৃদয়হীন, রাজনীতিবিদ, অধার্মিক, বিবেকহীন, তাকফিরিদের সমর্থন, বিশৃঙ্খলাকারী এবং ... বলে অবিহিত করেছেন। বর্তমানে ইসলামের পূর্বে জাহেলিয়াতের যুগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। হযরত ইব্রাহীম (আ.) পবিত্র কাবা শরীফকে তৌহিদ এবং মহান আল্লাহর ইবাদত করার জন্য নির্মাণ করেছেন; অথচ বর্তমানে এই পবিত্র ঘর এমন ব্যক্তিদের হাতে পড়েছে, যারা এই পবিত্র ঘরকে মূর্তি পূজার ঘরে পরিবর্তন করেছে। প্রকৃতপক্ষে এরা আবু জাহেল ও আবু সুফিয়ানের বংশধর।
তেহরানের খতিব বলেন: দেশজুড়ে আজ যে বিক্ষোভ মিছিল হবে, সেখানে হজ ব্যবস্থাপনায় আলে সৌদের ব্যর্থতার ফলে মিনা দুর্ঘটনা জন্য সৌদি শাসকের নিন্দা জানানো হবে। এছাড়াও এই বিক্ষোভের মাধ্যমে বাহরাইনের নিরীহ জনতা ও আয়াতুল্লাহ শেখ ঈসা কাসেমের সমর্থন করা হবে।