IQNA

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে (আ.) যে ওসিয়ত করেছিলেন ওসিয়ত

23:59 - February 12, 2017
সংবাদ: 2602522
স্পেশাল বিভাগ: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল (সা.) তার সুযোগ্য স্থলাভিষিক্ত আমিরুল মু’মিনিন আলীর (আ.) প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ওসিয়ত করেছেন; যা আমরা এখানে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরছি:
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে (আ.) যে ওসিয়ত করেছিলেন ওসিয়ত
বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশিষ্ট সাহাবী মুয়াবিয়া বিন আম্মার বলেছেন যে, ইমাম জাফর সাদীক (আ.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন: রাসূল (সা.) আমিরুল মু’মিনিন আলীকে (আ.) উদ্দেশ্য করে বলেন: আমি তোমাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিতে চায়, তুমি এগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখ এবং এগুলো মেনে চলবে। হে আল্লাহ! তুমি এগুলো স্মরণ রাখার ক্ষেত্রে তার সহায়ক হও-

১- সততা ও সত্যবাদিতা মেনে চলবে; কখনও মিথ্যার আশ্রয় নিবে না।

২- পরহেজগারিতা অবলম্বন করবে এবং কখনও খেয়ানত করবে না।

৩- আল্লাহকে এমনভাবে ভয় করবে যেন সর্বাবস্থায় তাকে তুমি দর্শন করছ।

৪- আল্লাহর ভয়ে অশ্রু ঝরাবে; মনে রেখ! এভাবে নির্গত প্রতিটি অশ্রুর বিনিময়ে আল্লাহ বেহেশতে তোমাকে হাজার গৃহ দান করবেন।

৫- আল্লাহর পথে তোমার জান ও মাল উৎসর্গ করবে।

৬- আমার সুন্নতসমূহ মেনে চলবে; যথা: দৈনন্দিন ফরজ ও নফল নামাযসমূহ আদায় করবে, প্রতি আরবি মাসের প্রথম ও শেষ বৃহস্পতিবার এবং মাসের মাঝখানের বুধবার রোযা পালন করবে, সদকা দিবে এবং অভাবীকে সাহায্য করবে, অপব্যয় থেকে বিরত থাকবে, মানুষের সাথে সদাচরণ করবে। মন্দ ও রূঢ় আচরণ থেকে বিরত থাকবে। (দ্র: উসূলে কাফী, ১ম খণ্ড, পৃ.১১৩)

ইমাম জাফর সাদীক (আ.) আরও বলেন: রাসূল (সা.) বর্ণনা করেছেন: মানুষের ধার্মিকতা হচ্ছে তার বংশের পরিচয়, জ্ঞান ও বিবেক হচ্ছে তার ব্যক্তিত্বের পরিচয় এবং তার সম্মান ও মর্যাদা হচ্ছে তার তাকওয়া ও পরহেজগারিতা।(দ্র: প্রাগুক্ত)
captcha