
বার্তা সংস্থা ইকনা: বৃহস্পতিবারের রাত্রে মাগরিব ও ঈশার নামাজের মাঝে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। প্রতি রাকাতে সূরা হামদের পর ৩ বার সূরা কদর এবং ১২ বার সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে।
১২ রাকাত নামাজ শেষে ৭০ বার এই জিকিরটি পাঠ করতে হবে: " اللهم صل علی محمد النبی الامی و علی آله"
এরপর সিজদায় গিয়ে ৭০ বার এই জিকিরটি পাঠ করতে হবে: "سبوح قدوس رب الملائكة والروح"
সিজদা থেকে উঠে ৭০ বার এই জিকিরটি পাঠ করতে হবে: "رب اغفر وارحم و تجاوز عما تعلم انك انت العلی الاعظم"
পুনরায় সিজদায় গিয়ে এই জিকিরটি ৭০ বার বলতে হবে: "سبوح قدوس رب الملائكة والروح" এর পর নিজের মনের আশা ব্যক্ত করে দোয়া করতে হবে।
হযরত মুসা ইবনে জাফর (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র রজব মাসের একটি দিন রোজা রাখে, জাহান্নামের আগুন এক বছরের জন্য তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি ৩ দিন রোজা রাখে তার উপর বেহেশ্ত ওয়াজিব হয়ে যায়’।
তিনি আরো বলেছেন : ‘রজব হচ্ছে বেহেশতের একটি ঝর্ণাধারার নাম; যার (পানি হচ্ছে) দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। যে ব্যক্তি এ মাসের একটি দিন রোজা রাখে সে অবশ্যই এ ঝর্ণাধারা হতে পানি পান করবে।
ইমাম সাদিক (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী (স.) বলেছেন : ‘রজব মাস হচ্ছে আমার উম্মতের ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনার মাস। অতএব, এ মাসে অত্যধিক ক্ষমা প্রার্থনা কর, কেননা মহান আল্লাহ্ ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু। রজব মাসকে ((أصل)) বলা হয়, কারণ এ মাসে আমার উম্মতের উপর আল্লাহর অত্যধিক রহমত বর্ষিত হয়, অতএব, ((أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَ أَسْأَلُهُ التَّوْبَةَ)) (আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আসআলুহুত তাওবাহ) –এ জিকিরটি অত্যধিক পড়।
সালেম হতে ইবনে বাবাওয়াইহ বর্ণনা করেছেন : রজব মাস শেষ হতে কয়েকদিন বাকি ছিল, আমি ইমাম সাদিক (আ.) এর সাক্ষাতে গেলাম। যখন তাঁর দৃষ্টি আমার উপর পড়লো, আমাকে জিজ্ঞেস করলেন : এ মাসে রোজা রেখেছ? আমি বললাম : না, হে আল্লাহর রাসূলের সন্তান।
তিনি বললেন : এতটা সওয়াব তোমার হাতছাড়া হয়েছে যার পরিমাণ মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা। নিশ্চয়ই এটা হচ্ছে মহান আল্লাহর মাস। মহান আল্লাহ্ একে অন্যান্য মাসের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন, এ মাসের মর্যাদাকে অত্যধিক বৃদ্ধি করেছেন এবং এ মাসে রোজাদারদের সম্মানিত করণকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নিয়েছেন। সূত্র: shabestan