
বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসলামী শাসনব্যবস্থায় কুরআন-হাদীসভিত্তিক শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়।এরই আলোকে রাসূল(সা.) বলেছেন:
আমি তোমাদের মাঝে দুটি অতি উত্তম ও ভারি বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যতদিন তা আঁকড়ে ধরবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হল আল্লাহর কিতাব এবং অপরটি হল আমার আহলে বাইত।
ইসলামী রাজনীতির অন্যতম মূল বৈশিষ্ট্য হল সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা। এ ব্যাপারে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে:
হে ঈমানদারগণ! ইনসাফের পতাকাবাহী ও আল্লাহর সাক্ষী হয়ে যাও, তোমাদের ইনসাফ ও সাক্ষ্য তোমাদের নিজেদের ব্যক্তিসত্তার অথবা তোমাদের পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে গেলেও। (নিসা-১৩৫)
সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। (মায়িদা-৮)
পশ্চিমা দেশগুলোতে আখলাকের কোন স্থান নেই। অথচ ইসলাম বলছে, আখলাক ছাড়া কোন ধর্মই হতে পারে না।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: আমি নৈতিক চরিত্রকে পূর্ণতায় পৌঁছানোর জন্য নবী হিসাবে প্রেরিত হয়েছি।
পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরানের ১৫৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে:
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِنَ اللَّهِ لِنْتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنْتَ فَظّاً غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِي الْأَمْرِ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ
আল্লাহর দয়ায় আপনি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছিলেন; যদি আপনি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতেন তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। কাজেই আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন, তারপর আপনি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে আল্লাহর উপর নির্ভর করবেন; অবশ্যই আল্লাহ্ (তাঁর উপর) নির্ভরকারীদের ভালবাসেন। সূত্র: শাবিস্তান