বার্তা সংস্থা ইকনা''র রিপোর্ট: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিশিষ্ট আলেম ও গবেষক হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন আলী আকবার রাশাদ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন: পবিত্র কুরআনের আয়াত এবং মাসুমগণের (আ.) হাদীসসমূহের মধ্যে অত্যন্ত সামঞ্জস্যতা বিদ্যমান। কারণ কোরআন যেমন ভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের হেদায়েতের জন্য নাজিল হয়েছে, তেমনভাবে নিষ্পাপ মাসুমগণও মানব জাতিকে দিকনির্দেশনা ও খোদামুখী করতে এ পৃথিবীতে আগমন করেছেন।
তিনি মানব জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্যের প্রতি ইশারা করে বলেন: যেমন ভাবে পবিত্র কোরআনের সূরা হুজরাতের ১৩ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে-
إِنَّ أَكرَمَكُم عِندَ اللَّهِ أَتقاكُم
অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে সেই হচ্ছে আল্লাহর নিকট ততবেশি সম্মানিত যে ব্যক্তি যতবেশি তাকওয়ার অধিকারী। অনুরূপভাবে এ সম্পর্কে আমিরুল মু’মিনিন আলীর (আ.) একটি জ্ঞানগর্ভ বাণী নাহজুল বালাগার ১১৩ নং হিকমতে বর্ণিত হয়েছে;
তাকওয়ার চেয়ে সম্মানজনক অন্য কিছু নেই।
তিনি তাকওয়াকে মানুষের সম্মান ও মর্যাদার মানদণ্ড হিসেবে অভিহিত করে বলেন: পবিত্র কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী সম্পদ, বংশীয় পরিচয় কিংবা প্রতিপত্তি কোন কিছুই মানুষের সম্মান ও মর্যাদার মানদণ্ড নয়; বরং তাকওয়া ও খোদাভীতিই হচ্ছে মাপকাঠি।