বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু; কাজেই প্রত্যেক সচেতন ও বুদ্ধিমান মানুষের উচিত প্রকাশ্য শত্রু থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। নতুবা যে কোন মুহূর্তে শত্রুর অনিষ্টের শিকার হতে পারে মানুষ।
একজন ধর্মপ্রাণ মানুষের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে সব সময় আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংশোধনের চেষ্টা করা। কেননা যখন মানুষ আত্মশুদ্ধির পথ বেছে নিবে; তখন সে আল্লাহর নিকটতম হওয়ার তৌফিক অর্জন করবে। আর এমন অবস্থাতে শয়তান তার কোন অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না।
তিনি ইমাম মাহদীর (আ.) আবির্ভাবের অপেক্ষা থাকা একজন মু'মিনের অন্যতম পরিচয় হিসেবে তুলে ধরে বলেন: কোন মানুষ যখন যুগের ইমাম তথা হযরত ইমাম মাহদীর (আ.) আবির্ভাবের অপেক্ষা থাকবে, তখন তার পক্ষে আল্লাহর নাফরমানী ও অবাধ্য থাকা সম্ভব না। কেননা এমন অবস্থাতে সে সব সময় ইমামের আবির্ভাবের প্রতীক্ষায় থাকবে এবং ইমামের আবির্ভাবের পর তার নির্দেশিত পথে অগ্রসর হবে।
সূরা হিজরের ৩৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, قَالَ رَبِّ فَأَنْظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ ِ
ইবলিস বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।
এই আয়াতে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আল্লাহতালা চরম অবাধ্য ইবলিশের প্রার্থনা অনুযায়ী তাকে সময় দিলেন, কাজেই মহামহিম আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে কখনো নিরাশ হতে নেই। আর শয়তান মানুষকে কুপ্ররোচনার মাধ্যমে বিভ্রান্ত করতে তৎপর,কাজেই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য তাকওয়া এবং পরহেজগারি অবলম্বন করা উচিত।