বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: সৌদি আরবের একটি বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার রাতে এসকল শ্রমিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। ফেরত পাঠানো শ্রমিকরা বলেছেন, আকামা (কাজের অনুমতিপত্র)থাকা সত্ত্বেও কোন কারণ ছাড়াই তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
ব্র্যাক (Brac) মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম বলেছেন: শ্রমিকদের বহনকারী বিমানটি প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সংসারে সচ্ছলতা আনতে মাত্র পাঁচ মাসে আগে বহু স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কুড়িগ্রামের আকমত আলী। কিন্তু তার সে স্বপ্ন বেশিদিন স্থায়ী হল না। তার অভিযোগ, আকামার (কাজের অনুমতিপত্র) মেয়াদ আরও ১০ মাস থাকলেও তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আকমত আলীর মতো আরও ২০০ বাংলাদেশিকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে হয়েছে। বরাবরের মতো গতকালও দেশে ফেরা কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সহায়তা প্রদান করে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
শুক্রবার ফেরত আসা গোপালগঞ্জের ছেলে সম্রাট শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আট মাসের আকামা ছিলো তার। নামাজ পড়ে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কোনো কিছুই না দেখে দেশে পাঠিয়ে দেয়।
ফেরত আসা সাইফুল ইসলামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ দেখানোর পরেও তাকে দেশে পাঠানো হয়। সাইফুল বলেন সবে মাত্র ৯মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন, আকামার মেয়াদও ছিলো আরও ৬মাস।
চলতি বছর ১৬ হাজারের বেশী বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফেরত এলো। এদেরমধ্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ৮০৪ জনকে ব্র্যাক সহযোগিতা করে। তবে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী এলেন গতকাল।
এবিষয়ে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম বলেন, ফেরত আসা কর্মীরা যেসব বর্ণনা দিচ্ছেন সেগুলো মর্মান্তিক। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে অনেক লোক ফেরত আসতো। কিন্তু এবার অনেকেই বলছেন, তাদের আকামা থাকার পরেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই অনেককে ফিরতে হচ্ছে যারা খরচের টাকার কিছুই তুলতে পারেননি। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এই দায় নিতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যেন গিয়ে এমন বিপদে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। iqna