উল্লেখ্য, জানুয়ারির শুরুতেই বিশেষজ্ঞ দলটির চীনে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সে সময় ডাব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, বেইজিং অনুমতি না দেয়ায় বিশেষজ্ঞ দলটির চীনে পৌঁছাতে দেরি হবে। এ বক্তব্যের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘কোথাও সম্ভবত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’ এরপর গত ৯ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞ দলকে উহানে যেতে দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানায় চীন।
সাত মাস ধরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার পর সম্প্র্রতি সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা এমন এক সময় চীনে পৌঁছালেন যখন দেশটির দুই কোটিরও বেশি মানুষ লকডাউনে রয়েছে এবং একটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান পিটার বেন এমবারেক জানান, চীনের অভিবাসন নিয়ম অনুযায়ী তারা আগে একটি হোটেলে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ পর আমরা চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গের সাক্ষাৎ করব এবং বিভিন্ন জায়গায় যাব। তিনি আরও বলেন, ঠিক কী ঘটেছিল তা পুরোপুরি বুঝতে বেশ দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। আমার মনে হয় না প্রাথমিক মিশনেই আমরা পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারব, তবে আমরা কাজে লেগে থাকব।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৯ কোটি ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ।
সূত্র: বিবিসি, এএফপি