
ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে এই অঞ্চলে ইসলাম প্রবেশ করেছে, যার বর্তমান নাম সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইসলামের প্রারম্ভিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। এখানে অতি প্রাচীন কিছু মসজিদ যা এখনও সক্রিয় আছে, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১- আল-বাদিয়ি মসজিদটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাচীন মসজিদসমূহের মধ্যে অন্যতম। এই মসজিদটি ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদটি অটোমান আমলে নির্মিত হয়েছে এবং সে সময়কার ইসলামী স্থাপত্যের উদাহরণ এটি। প্রাচীন এই মসজিদটি সাত বর্গমিটার এলাকায় নির্মিত এবং এর কোনও মিনার নেই। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে এবং মুসল্লিরা আল-বাদিয়ি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
২- ফালাজ আল-মুয়াল্লা দুর্গ মসজিদ ১৮০০ সালে নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদটি উম্মুল ক্বওয়াইন এলাকার ফালাজ আল-মুয়াল্লা দুর্গের পাশে অবস্থিত। এই মসজিদে নামাজের জন্য বড় মুসাল্লা রয়েছে এবং এর মেহরাবটি পাথর ও কাদা দিয়ে তৈরি।
৩- ইবনে সুলতান মসজিদ ১৮১৫ সালে আজমানে নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদটি আজমানের প্রাচীনতম মসজিদ।
৪- শেখ মোহাম্মদ ইবনে সালেম আল-কাসেমি মসজিদটি ১৮১৯ সালে আরব আমিরাতের রাস আল খাইমার নির্মিত হয়েছে। এটি এই অঞ্চলের প্রাচীনতম মসজিদ। এই মসজিদটি রাস আল খাইমার উপকূলীয় অঞ্চলের সামনে অবস্থিত। এই মসজিদের ভিতরে ৬০টি স্তম্ভ রয়েছে এবং এটি ১৮ শতাব্দীর প্রাচীন একটি মসজিদের ভিত্তিতে উপর নির্মাণ করা হয়েছে।
৫- দুবাইয়ের “বির” মসজিদটি ১৮৫০ সালে নির্মিত হয়েছে। এটি সর্বপ্রথম ১৯৫২ সালে এবং পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। বির মসজিদটি দুবাইয়ের প্রাচীনতম মসজিদ।
৬- ‘আল-জাহিল’ মসজিদটি এইন অঞ্চলে ১৮৯১ সালে নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদটি মাটির ইট এবং খেজুর গাছের আঁশ ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে।
৭- জাইন ইবনে ছাবিত মসজিদ ১৯৫০ সালে নির্মিত হয়েছে এবং এটি শারজাহের প্রাচীনতম মসজিদ। এই মসজিদটি খেজুর গাছের আঁশ এবং সমুদ্রের প্রবাল পাথর ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। জাইন ইবনে ছাবিত মসজিদের আয়তন ৪৯৩ বর্গ মিটার।
৮- জুমাইরা মসজিদ দুবাইয়ের জুমাইরা বিচ রোডের পাশে নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদটি দুই মিনারের মসজিদ নামে প্রসিদ্ধ। জুমাইরা মসজিদটি শাইখ রাশেদ বিন সায়িদ আলে মকতুবের সহায়তায় ফাতেমিয়ান আর্কিটেকচারের শৈলীতে নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদে এক সাথে ১৩০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করবে পারেন।
৯- দিওয়ান মসজিদটি দুবাইয়ের বাস্তাকিয়ায় অবস্থিত। এই মসজিদটি বাস্তকিয়ার প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত এবং এটি সমতল গম্বুজের জন্য বিখ্যাত।
১০- মালিক ফয়সাল মসজিদটি সৌদি আরবের বাদশাহর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি শারজাহের বৃহত্তম মসজিদ। এই মসজিদটি ১৯৮৭ সালে ১২ হাজার বর্গ মিটার এলাকায় নির্মিত হয়েছে। এতে একসাথে ১৭ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। iqna
