
ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। মুক্তি পাওয়ার পর তিন আঙুলের সেল্যুট দিতে দেখা যায়। দেশটির সরকারি টেলিভিশন বলছে, মোট ৬২৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
চলমান বিক্ষোভ থামাতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে পরিস্থিতি বুঝে বিক্ষোভের ধরন পাল্টাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। বুধবার মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভের আরো পরিকল্পনা করেছেন। ‘নীরব ধর্মঘট’ অর্থাৎ ‘অল শাটডাউন’ করবেন তারা। ঘর থেকে বের হবেন না, কোনো ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়াবেন না, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখবেন। এরই মধ্যে জনসাধারণকে তারা ঘরে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি নোবেলজয়ী নারী অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি চরম সংকটের মধ্যে পড়ে। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ চলছে। প্রায় প্রতিদিনই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বিক্ষোভকারীদের প্রাণ যাচ্ছে।
মিয়ানমারের অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৫ জন। তবে আরো মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কারণ অতিরিক্ত মৃত্যুর বিষয়টি এখনো যাচাই করা হয়নি সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত জান্তা সরকার দু’হাজার ৮১২ জনকে আটক করেছে। দু’হাজার ৮১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের বিষয়টি যাচাই করেছে সংস্থাটি। আটকদের মধ্যে এখনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন দুই হাজার ৪১৮ জন। গার্ডিয়ান।