তেহরান (ইকনা): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যুর সময় কলিনের বয়স ছিল ৮৪ বছর।

কলিন পাওয়েল ২০০৩ সালে জাতিসংঘে ভাষণের মধ্যমে ইরাকের বিরুদ্ধে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পথ সুগম করেছিল।
পাওয়েল পরিবার গতকাল ফেসবুকে লিখেছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল কলিন এল পাওয়েল আজ সকালে মারা গেছেন।’
কুয়েতে সাদ্দামের হামলার পাঁচ মাস পর সংঘটিত উপসাগরীয় যুদ্ধে ছয় সপ্তাহব্যাপী ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’ পরিচালিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ প্রশাসনের এ হামলায় এক লাখ ৩০ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার ইরাকি মারা যায়।
এরপর সাদ্দামের সেনাবাহিনী কুয়েত থেকে প্রত্যাহার করা হলেও ইরাকিরা দীর্ঘ ১২ বছর মার্কিনীদের নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকে। এর কিছু আজও কার্যকর রয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
অপারেশন ডেজার্ট স্টর্মের সময় কলিন পাওয়েল জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ ছিল।
১৯৮৯ সালে চিফ অফ স্টাফ নিযুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত পাওয়েল মার্কিন সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করে এবং হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের অস্তিত্বের কথা অভিযোগ করে ২০০৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পাওয়েল নিরাপত্তা পরিষদে একটি মামলা পেশ করে। পরে জানা যায় যে, এই ক্ষেত্রে তার দেওয় সমস্ত তথ্য ভুল ছিল। এই বিধ্বংসী যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ইরাকি নিহত হয়েছে এবং এরফলে ইরাকের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেদেশে গণবিধ্বংসী কোন অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মার্কিন নীতির দায়িত্বে বেশ কয়েক বছর থাকার পর পাওয়েল ২০০৪ সালের ১৫ই নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয় কনডোলিজা রাইস। iqna