বৃহস্পতিবার আদালতের শুনানির পর শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত তা স্থগিতের আদেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে রাজ্যের সরকার পক্ষের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ নাভাদগি পিটিশনের বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করেন। আদালতকে তিনি জানান, তিনি রাজ্য সরকারের কিছু আদেশের প্রতীক্ষা করছেন।
অপরদিকে পিটিশনে বাদিপক্ষের উকিল সিনিয়র অ্যাডভোকেট এএম ধর শুনানিতে বলেন, ‘রাজ্য সরকারের এই আদেশ আমার মক্কেলদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে যেহেতু তারা হিজাব পরেন। এই আইন অসাংবিধানিক।’
আদালত এএম ধরকে তার পিটিশন বিস্তারিত বিবরণসহ নতুন করে দাখিল করার অনুমতি দেন।
বাদিপক্ষের অপর আইনজীবি অ্যাডভোকেট বিনোদ কুলকারনি বলেন, হিজাব নিয়ে চলমান বিতর্ক ‘মানসিক অস্বস্তির’ সৃষ্টি করেছে এবং তা মুসলিম মেয়েদের মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘দয়া করে অন্তত শুক্রবার তারা যাতে হিজাব পরতে পারে, তার জন্য সাময়িক ছাড় দিন।’
এর আগে কর্নাটকে স্কুল ও কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের হাইকোর্টে মুসলিম ছাত্রীদের দাখিল করা পিটিশনে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুনানি শুরু হয়।
চলতি বছর জানুয়ারিতে প্রথম উদুপির সরকারি পিউ গার্লস কলেজে হিজাব পরে ছয় মুসলিম ছাত্রীকে ক্লাস করতে বাধা দেয়া হয়। পরে ফেব্রুয়ারির শুরুতে নতুন করে কুনদাপুর সরকারি জুনিয়র কলেজে মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়ার মাধ্যমে কর্নাটকের দ্বিতীয় এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার কারণে বাধার ঘটনা ঘটে। পরে আরো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ শুরু করে। অপরদিকে একদল হিন্দু শিক্ষার্থী গেরুয়া শাল পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের দাবি তোলে।
এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে আদালতের নির্দেশনায় নতুন করে সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হয়। তবে আদালত সাময়িকভাবে হিজাবসহ অন্য যেকোনো ধর্মীয় চিহ্ন পরে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করে।
সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস