ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.) আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) ও খাতুনে জান্নাত
ফাতেমা যাহরার (আ.) প্রথম সন্তান; যিনি পবিত্র রমজান মাসের ১৫ তারিখ তৃতীয়
হিজরিতে আহলে বাইতের (আ.) ঘরকে আলোকিত করে এ পৃথিবীতে আগমন করেন।
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তৃতীয় হিজরীর ১৫ শাবান ইমাম হাসান মুজতাবা'র (আ.) মহিমান্বিত জন্ম বার্ষিকী। তিনি মদীনা মুনাওয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৪৭ বছর বয়সে ২৮ সফর শাহাদত বরণ করেন। কুচক্রী মুয়াবিয়ার প্ররোচনায় তার স্ত্রী জো'দার বিষপ্রয়োগে তিনি শাহাদত বরণ করেন।
ইতিহাসের সাক্ষ্য অনুযায়ী ইমাম হাসান (আ.) ছিলেন অত্যন্ত মজলুম ইমাম। তার পিতামহ রাসুলের (সা.) ওফাতের পর থেকে তার কষ্টকর দিনের সূচনা হয়। তিনি সচক্ষে তার শ্রদ্ধেয় পিতা আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) ও মাতা খাতুনে জান্নাতের মর্মান্তিক শাহাদতের ঘটনাবলী প্রত্যক্ষ করেছেন। এটাও তার মাজলুমিয়্যাতের অন্যতম কারণ।
এ মহান ইমামের (আ.) ইমামতকালে প্রকাশ্যে তার পিতা আমিরুল মু'মিনিন আলীর (আ.) প্রতি লা'লন বর্ষণ করা হত; যা তার জন্য ছিল অত্যন্ত পীড়াদায়ক। কিন্তু তথাপি তিনি বাধ্য হয়ে তা সহ্য করতেন। কুচক্রী মুয়াবিয়ার দোসররা এ সময় আহলে বাইতের (আ.) বিরুদ্ধে এত অধিক অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল যে, কুফার মসজিদে ফজরের নামায আদায়কালে যখন ঘাতকের তরবারীর আঘাতে আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) মারাক্তক আহত হন, তখন কেউ কেউ এমন বলাবলি করছিল যে, আলী কি নামায পড়ত?
ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.) ছিলেন অধিক দয়ালু ও মহানুভব। তিনি সব সময় নি:স্ব ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতেন। তিনি জীবনে কয়েকবার নিজের গৃহের সব কিছু গরীবদের মাঝে বিলি করেছেন। এ কারণে তাকে আহলে বাইতের (আ.) 'দয়ার সাগর' বলে অভিহিত করা হয়। শাবিস্তান