শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মাসুম তথা পুত:পবিত্র ও ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে মহামানবগণ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী; যে সব বৈশিষ্ট্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। আর নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) অতুলনীয় ও মহিমান্বিত ফজিলত ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী; যা অন্য কোন মাসুম ব্যক্তিত্বের মধ্যেও নেই। তিনি তার মাত্র ১৮ বছর জীবনের প্রথম ৯ বছর ছিলেন নবুয়ত ও রেসালতের সেবায় নিয়োজিত এবং পরবর্তী ৯ বছর ইমামতের শিরোমণি আমিরুল মু'মিনিন আলীর (আ.) জীবনসঙ্গী জীবন অতিবাহিত করেছেন।
ইসলাম প্রচারের শুরুতে রাসূল (সা.) যখন মক্কার মুশরিকদের নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করে ঘরে ফিরে আসতেন, তখন শিশুকন্যা ফাতেমার (আ.) মমতার পরশ পেয়ে সব কষ্ট-দু:খ ভুলে যেতেন। আমিরুল মু'মিনিন আলীর (আ.) গৃহে যখন ছিলেন, তখন একজন প্রকৃত জীবনসঙ্গী হিসেবে ইমামের পাশে ছিলেন। তিনি আমিরুল মু'মিনিন আলীর (আ.) যাবতীয় কষ্ট-দু:খ, ব্যথা-বেদনাকে ভাগাভাগি করে নিতেন। তাই তো ফাতেমা যাহরার (আ.) শাহাদতের পর তিনি বড় অসহায় হয়ে পড়েন। ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে যে, এ সময় ইমাম আলী (আ.) গভীর রাতে কুয়ার নিকট বসে বসে নিজের মনের দু:খের কথা প্রকাশ করতেন।
নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) মহিমান্বিত জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তিনি সমগ্র মানব জাতীর সর্বোত্তম আদর্শ। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল (সা.) যখনই স্বীয় কন্যা ফাতেমা যাহরাকে (আ.) দেখতেন, তখনই দাড়িয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন। আর নিজ কন্যা হওয়া স্বত্বেও ফাতেমার (আ.) প্রতি তার এমন নজিরবিহীন সম্মান এজন্য ছিল যে, যেহেতু ফাতেমা (আ.) আল্লাহর নিকট সুউচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী। তিনি যখন কোন সফরে যেতেন তখন সর্বশেষ ফাতেমা যাহরার (সা.) সাক্ষাত করতেন এবং সফর থেকে ফিরে সর্বপ্রথম তার সাথেই দেখা করতেন। এমন আচরণ থেকে বুঝা যায় রাসূলের (সা.) নিকট ফাতেমার (আ.) অবস্থান কেমন ছিল।