IRIB এর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনার রিপোর্ট : ১৯৩ দেশ নিয়ে গঠিত এ বিশ্ব সংস্থা সোমবার শেষ বেলায় এ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া, এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেয়াসহ সব ধরণের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
উগ্র বৌদ্ধদের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, জাতিসংঘের এক হিসাবে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চল বা রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ উগ্রবাদীদের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার ফলে এক লাখ ১৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান নিজ ভিটেমাটি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
গত কয়েক মাসের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গায় শত শত রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হওয়ার পাশাপাশি তাদের হাজার হাজার বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। খোদ মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ৪,৬০০ বাড়ি ভস্মীভূত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত নভেম্বরে উপগ্রহ থেকে নেয়া ছবি তুলে ধরে বলেছে, উগ্র বৌদ্ধরা মুসলমানদের কয়েকটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং সেখানে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব নেই।
মিয়ানমারে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে নাগরিক অধিকার দেয়া হচ্ছে না। এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারে বসবাস করছেন। রোহিঙ্গারা নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিকভাবে দেশটির অধিবাসী হওয়া সত্ত্বেও ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদের ওপর নির্লজ্জভাবে যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে তাকে অনেকে জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের জঘন্যতম উদাহরণ বলে মনে করছেন।#