বিশ্বের সকল ঐশী ধর্মের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হলেই সকল চরমপন্থা দূর হবে। কেননা প্রতিটি ঐশী ধর্মেই শান্তি, নিরাপত্তা, ভালবাসা ও সাম্যের কথা বলা হয়।
এসম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে: « قُل يا أَهلَ الكِتابِ تَعالَوا إِلىٰ كَلِمَةٍ سَواءٍ بَينَنا و َبَينَكُم أَلّا نَعبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلا نُشرِكَ بِهِ شَيئًا وَلا يَتَّخِذَ بَعضُنا بَعضًا أَربابًا مِن دونِ اللَّهِ ۚ فَإِن تَوَلَّوا فَقولُوا اشهَدوا بِأَنّا مُسلِمونَ؛
তুমি বল, হে গ্রন্থধারীরা! এস, আমাদের ও তোমাদের মধ্যে এক অভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্যে আসি, আর তা এই যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও উপাসনা করব না, কোন কিছুকে তাঁর অংশী করব না এবং আল্লাহ ব্যতীত আমাদের মধ্যে কেউ অপর কাউকে প্রতিপালক হিসেবে গ্রহণ না করে। যদি (তারা এর থেকেও) মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তোমরা বল, তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী।
মহান আল্লাহ সূরা মুমতাহিনার ৮নং আয়াতে অমুসলিমদের সাথে মিলেমিসে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন: «لا يَنْهاکُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذينَ لَمْ يُقاتِلُوکُمْ فِي الدِّينِ وَ لَمْ يُخْرِجُوکُمْ مِنْ دِيارِکُمْ أَنْ تَبَرُّوهُمْ وَ تُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطينَ؛
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের বাসভূমি হতে তোমাদের বহিষ্কার করেনি তাদের প্রতি কল্যাণ (উদারতা প্রদর্শন) ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না; নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালবাসেন। আল্লাহ তো কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন থেকে তোমাদের নিষেধ করেন যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদের বাসভূমি হতে তোমাদের বহিষ্কার করেছে এবং তোমাদের বহিষ্করণে (অন্যকে) সাহায্য করেছে; তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে প্রকৃতপক্ষে তারাই অবিচারক।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) মালেক আশতারকে বলেন: হে মালেক! জনগণ দুই ধরণের হয় তারা তোমার দ্বীনি ভাই অথবা সৃষ্টির দিক থেকে তোমারই মত একজন মানুষ। সুতরাং সর্বদা তাদের সবার সাথে দয়ালু আচরণ কর এবং তাদের সাথে মিলেমিশে থাক।